১৪৩ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৭:০৬, ৪ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৩৩, ৪ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে টাইগাররা। উইকেটে ছিল যাওয়া আসার মিছিল। কেমন যেন তাড়া ছিল ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। কে কার আগে প্যাভিলিয়নে ফিরবে সেই প্রতিযোগিতা ছিল তাঁদের মধ্যে। যারা খেলা দেখেছেন তাঁরা নিশ্চয়ই বিষয়টি লক্ষ্য করে থাকবেন।
১৯ রান তুলতেই নেই ৪ উইকেট। আর ৪৯ রান তুলতেই খুইয়েছে ৫ উইকেট। মাঝখানে মুশফিক-মমিনুল একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। এরপর অবশ্য ছোট ছোট দু’একটি জুটি গড়েছিল, কিন্তু সেগুলোও বেশি দূর এগোয়নি। আরিফুল হক ও মেহেদী মিরাজ ছোট্ট জুটি গড়ে তোলন।
এই যাওয়া আসার মাঝে দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র চারজন। তাঁদের মধ্যে একটি মিলও আছে। সবার রানের শেষ অংক ১। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন আরিফুল হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন মুশফিক। আরিফুল হকে সঙ্গে জুটিতে ২১ রান করেছেন মেহেদী মিরাজ। আর ১১ করে কোনো রকমে দুই অংশ ছুঁয়ে বিদায় নিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মমিনুল হক।
১১ ব্যাটসম্যান মিলে রান করেছেন ১৪৩। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেকে ১৩৯ রান কম।
বাংলাদেশ ইনংসের শেষ ভরসা ছিলেন মুশফিকও। তিনিও বেশি দূর যেতে পারলেন না।
দলীয় ৭৮ রানে মুশফিক যখন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তখন তার স্কোর ৩১। ৫৪ বল খেলে ৫ টি চার মেরে এ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এর আগে ভালোই করছিলেন মুশফিক। মমিনুল হককে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েন। খেলছিলেন দেখেশুনে।
ইমরুল-লিটন-শান্ত-মাহমুদুল্লার মিছিলে যেন যোগ দিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মমিনুল হকও। যার গায়ে টেস্ট খেলুড়ের তকমা।
১৯ রানে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহসহ ৪ উইকেট হারিয়ে যখন লেজেগুবরে অবস্থা তখন দর্শকরা আস্থা রেখেছিল টেস্টের ডিপেন্ডেবল মমিনুল ও মুশফিকুর রহীমের ওপর।
ভালোই খেলছিলেন এই দুই মিডলঅর্ডার। ধীর স্বস্তিতে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুশফিককে। কিন্তু ১৯ তম ওভারে মাদাকাদজার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মমিনুল। এই সময় বাংলাদেশের স্কোর ৪৯/৫। যাওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইমরুল আউট হয়েছেন শুরুতেই ৫ রান করে। তার সঙ্গে নামা লিটন দাস করেন ৯ রান। শান্ত ৫ রান করলেও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে বিদায় নিতে হয়েছে রানের খাতা খোলার আগেই।
এর আগে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৮২ রানে। তাইজুল নেন ৬ উইকেট।
সূত্র : ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
/ এআর /