ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মুসলিম কাতারে কেমন হবে ফুটবল বিশ্বকাপ?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে৷ শরিয়া আইন মানা এই দেশে কি অন্য সব আয়োজক দেশের মতোই বিশ্বকাপে মজতে পারবেন সারা বিশ্বের ফুটবল ফ্যানরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

উৎসবের কর্তা কাতার

২০০৬ সালে এশিয়ান গেমসের আয়োজন করলেও ফুটবলের সবচেয়ে বড় উৎসব বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব কাতার এর আগে কখনও পায়নি৷ কিন্তু ২০২২ সালে সেই ভারই পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির ওপর৷

কতটা নিরাপদ কাতার

রাজনৈতিক দিক দিয়ে বরাবরই কাতার শান্তিপূর্ণ৷ সন্ত্রাসবাদের কোনও বড় ঘটনাও সেখানে ঘটেনি৷ দেশের ভেতরে অপরাধের সংখ্যাও তেমন গুরুতর নয় বলেই আয়োজকরা বেশ নিশ্চিন্ত৷ কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপের মতো এত বড় মাপের আয়োজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কীভাবে সামলাবেন, তা নিয়ে বিশ্বের ফুটবল ফ্যানদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ দেখা যাচ্ছে৷

আবহাওয়া কেমন হবে

সাধারণত, ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় জুন বা জুলাইয়ের মতো গ্রীষ্মকালীন মাসেই৷ কিন্তু কাতারে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলেই ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে৷ তখন তাপমাত্রা থাকবে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি৷

মদ পাওয়া যাবে কি

ফুটবলের সঙ্গে বিয়ারের সম্পর্ক ভালো করেই জানেন ইউরোপের ফুটবল ফ্যানরা৷ কিন্তু কাতারে শুধু হাতেগোনা কয়েকটি পানশালা ও হোটেলেই বিক্রি হয় মদ৷ সে কারণে বিশ্বকাপ চলাকালীন স্টেডিয়ামের ভেতরে বা বাইরে মদ পাওয়া যাবে কি-না, এই নিয়ে সংশয় রয়েছে৷

কোথায় থাকবেন ফুটবল ফ্যানরা

এমনিতেই কাতারে রয়েছে অসংখ্য হোটেল৷ ঝাঁ চকচকে পাঁচতারা হোটেল থেকে মাঝারি বা কম বাজেটের হোটেলও সেখানে প্রচুর৷ কিন্তু বিশ্বকাপ দেখতে আসবেন সারা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ৷ ফলে, দেশজুড়ে এখনই শুরু হয়ে গেছে অজস্র নতুন হোটেল নির্মাণের কাজ৷

যাতায়াত ব্যবস্থা

কাতারের রাজধানী দোহা’র জিন চার স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচ৷ কিন্তু এছাড়াও আরেকটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে কয়েকটি খেলা, যার দূরত্ব শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার৷ এই সমস্যার সমাধান করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই লেগে পড়েছেন দ্রুতগামী মেট্রোরেল, নতুন রুটের বাস ও ট্যাক্সির উদ্বোধনে৷

নারীদের পোশাক

বিদেশি নারীদের পোশাকের ওপর কোনও বাধা-নিষেধ না থাকলেও দেশের নারীরা ইসলামের রীতি মেনেই সাধারণত মাথায় কাপড় দেন৷ কেউ কেউ হিজাব বা নিকাবও পরেন৷ কিন্তু অন্য নারীদের পোশাক নিয়ে নেই কোনও বিধি৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি