ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আয়াক্সের বিপক্ষে রিয়ালের নাটকীয় জয়

প্রকাশিত : ১১:২৮, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ডাচ ক্লাব আয়াক্সের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাধারীরা।

বুধবার রাতে আমস্টাডার্মের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছে সান্তিয়াগো সোলারি।

প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে ম্যাচের প্রথমদিকে রিয়ালের পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ হতাশাজনক। ভুল পাসের ছড়াছড়িতে তাদের আক্রমণে ওঠার চেষ্টাগুলো ভেস্তে যাচ্ছিল বারবার। তবে পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পেয়েছিল তারাই; বাঁ দিক দিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়র দ্রুত আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে ঢুকে এক জনকে কাটিয়ে জোরালো শট নেন, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।

তবে রিয়ালের বিরুদ্ধে আয়াক্সের ইউরোপীয়ান রেকর্ড মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়৷ এই নিয়ে শেষ সাতটা ম্যাচেই রিয়ালের কাছে পরাস্ত হল নেদারল্যান্ডসের দলটি৷ তবু এই ম্যাচের প্রথমার্ধে দুরন্ত ফুটবল উপহার দেয় ডাচরা৷ একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা৷

ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে তাগলিয়াফিকো হেডে রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা৷ তবে অজস্রবার রি-প্লে দেখার পর রেফারি দামির গোলটি বাতিল করেন তাদিচ অফসাইডে ছিলেন মনে হওয়ায়৷ গোলশূন্য থেকেই থেকেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬০তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায় অতিথিরা। নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ভিনিসিউস বাঁ দিক দিয়ে দ্রুত আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে ঢুকে দুজনকে কাটিয়ে ছোট করে পাস দেন বেনজেমাকে। আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো কোনাকুনি শটে বল ঠিকানায় পাঠান ফরাসি এই স্ট্রাইকার।

ক্লাব ফুটবলে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় বেনজেমার এটি ৬০তম গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের গোলদাতার তালিকায় তার উপরে আছেন তিন জন; রাউল গনসালেস (৭১), লিওনেল মেসি (১০৬) ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (১২১)।

এরপর ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ডেভিড নেরেসের পাস থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান হাকিম৷

এর চার মিনিট পর আবারও এগিয়ে যেতে পারতো লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। তবে খানিক আগে বেনজেমার বদলি নামা মার্কো আসেনসিওর শট পোস্ট ঘেঁষে লাগে পাশের জালে।

এরপর ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিক থেকে দানি কারভাহালের দূরের পোস্টে বাড়ানো দুর্দান্ত ক্রসে পা বাড়িয়ে বল লক্ষ্যে পাঠান আসেনসিও। তবে এই গোলে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপ্লেতে দেখা যায় রেফারির চোখের সামনেই ভাস্কুয়েজ দি অংকে ফাউল করছেন কিন্তু রেফারি ফাউলের সিদ্ধান্ত দেননি। এমনকি ভিএআরে দেখারও প্রয়োজন মনে করেননি।

এই জয়ে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই কোয়ার্টারে এক পা দিয়ে দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দুর্দান্ত জয়ের পরও একটা অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সর্বোচ্চ ১৩ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। যোগ করা সময়ে সার্জিও রামোস হলুদ কার্ড পাওয়ায় আগামী ৫ মার্চ ঘরের মাঠে ফিরতি পর্বে অধিনায়ককে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।

সূত্র: লাইভস্কোর ডটকম

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি