‘এ মুহূর্তে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা দল এটি’
প্রকাশিত : ১২:১১, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হবে আগামী ৩০ মে থেকে। তাই দল গোছনো নিয়ে ব্যস্ত সবাই। অবশ্য আগামী ২৩ মে পর্যন্ত দলগুলো সময় পাবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল দেওয়ার। তবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টাইগারদের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
নির্বাচকরা ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দল গঠনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে এখনও ওয়ানডে অভিষেক না হওয়া তরুণ পেসার আবু জায়েদ রাহিকে ১৫ জনের চূড়ান্ত দলে রেখেছেন নির্বাচকরা।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মনে করছেন, এটাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেরা দল। বিশ্বকাপে তিনি এক থেকে চারের মধ্যে বাংলাদেশ দলকে দেখতে চান। দল নিয়ে প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে একমত অনেকেই।
এবিষয়ে সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা বলেন, ‘আমিও বলব এটাই বাংলাদেশের সম্ভাব্য সেরা দল। এই দলটা নিয়ে কেউ খুব বেশি সমালোচনা করতে পারবে না। পেস বোলিংয়ে তাসকিনের বাদ পড়া নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু আমি বলব সে ফিট থাকলেও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য তাকে ভাবতে হলে অনেক বিষয় চিন্তা করতে হতো নির্বাচকদের। কারণ তাসকিনের শক্তি শর্ট বল। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে এই ধরনের বল খুব বেশি কার্যকর হবে না। মার খাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাকআপ খেলোয়াড় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। খুব বেশি বিকল্প খেলোয়াড় নেই আমাদের। যারা আছে তাদের মধ্যে ইমরুলকে ব্যাটসম্যান হিসেবে মাথায় রাখতে পারেন নির্বাচকরা। বোলিংয়েও কয়েকজন আলোচনায় আছে।’
সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটাই বাংলাদেশের সেরা দল। এর বাইরে অনেক আলোচনা হতে পারে কিন্তু সবকিছু বিবেচনায় এটাই সেরা। অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসের কথা আসতে পারে। তবে সম্প্রতি ঢাকা লিগে ম্যাচ রেফারি থাকাকালীন আমি তাকে দেখেছি। তার চেয়ে এই দলে যারা আছে তারা বেশ ভালো। তাসকিনের ইনজুরির কথা তো সবারই জানা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশন ও দলের ভারসাম্য মিলিয়ে এটাই সেরা দল।’
একই সঙ্গে সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফুল হোসেন লিপু বলেন, ‘দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সেরা বিশ্বকাপ দল। এই সময়ে বাংলাদেশের সেরা দলই নির্বাচন করেছেন নির্বাচকরা। তবে দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা দল এটা- এমনটা বলা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। এটা ক্রিকেটারদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে ধারাবাহিক ভালো খেলাই গুরুত্বপূর্ণ। সাইড বেঞ্চ শক্তিশালী হওয়া উচিত। কারণ এই সফরে অনেক ভ্রমণ করতে হবে, অনেক বেশি ম্যাচও খেলতে হবে। চোটে পড়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রাখতে হবে। সুযোগ পাওয়া অনেকেই ফর্মে নেই। কিন্তু আমি আশা করি বিশ্বকাপ শুরুর আগে সবাই ফর্মে ফিরবে।’
প্রধান নির্বাচক বলেছেন, বিশ্বকাপে এক থেকে চারের মধ্যে বাংলাদেশকে দেখতে চান। তবে আমার মনে হয় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে চাওয়াই আমাদের স্লোগান হওয়া উচিত। আর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারলেই আমি খুশি হবো।
এসএ/