ওয়ার্নারকে পাল্টে দিয়েছে নির্বাসন: ক্যান্ডিস
প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ২০ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৪৮, ২০ এপ্রিল ২০১৯
বল বিকৃতি কাণ্ডে বারো মাসের নির্বাসনের সঙ্গে তার চলতি আইপিএলে ব্যাটের শাসনকে মেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
সোজাসাপ্টা হিসাব বলছে, এবার সানরাইজার্স হায়দারাবাদের জার্সিতে ডেভিড ওয়ার্নারের এখনও পর্যন্ত আট ম্যাচে মোট রান ৪৫০। রয়েছে একটি অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। গড় ৭৫। স্ট্রাইক রেট ১৪৫ দশমিক ১৬। কীভাবে আবার নিজের স্বাভাবিক পৃথিবীতে ফিরে এলেন তিনি?
সেই রহস্য ফাঁস করেছেন অস্ট্রেলীয় ওপেনারের স্ত্রী ক্যান্ডিস ওয়ার্নার। যিনি জানিয়েছেন, গত এক বছর প্রতি মুহূর্তে যে তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে তারা জীবন কাটিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করার ভাষা তার অন্তত জানা নেই।
ক্যান্ডিস বলেছেন, একটা দমবন্ধ করা পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আমাদের চলতে হয়েছে। সবার কথাবার্তার মধ্যে একটা মেকি ভাব দেখতে পেতাম। তবে এ-ও জানতাম, এই পরিস্থিতিা সাময়িক। আমাদের জীবনে আবার সুন্দর দিন ফিরবে। সঙ্গে যোগ করেছেন, ওই সময়ে আমি এবং দুই কন্যা আইভি এবং ইন্ডির একটাই লক্ষ্য ছিল, ডেভিড যেন কোনও সময়ে ভেঙে না পড়ে। ওকে আমরা প্রতিনিয়ত সাহস জুগিয়ে গেছি। বোঝানোর চেষ্টা করেছি, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবই। আজ ডেভিডকে আবার স্বাভাবিক মেজাজে দেখে আনন্দে বুক ভরে যাচ্ছে। ওই বারো মাসের নির্বাসন ডেভিডকে আমূল পাল্টে দিয়েছে। এখন যে কোনও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ও বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারে।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে দেখা গিয়েছিল অপূর্ব এক দৃশ্য। বড় মেয়ে আইভি গ্যালারিতে এক পোসটার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাতে লেখা, ‘গো ড্যাডি।’ যা নিয়ে ম্যাচের পরে ওয়ার্নার বলেছিলেন, আমার প্রধান শক্তি দুই মেয়ে। ওদের মুখে হাসি দেখতে চাই। তাই আবার নতুনভাবে জীবন শুরু করেছি। এভাবেই এগোতে হবে।
তার আরও মন্তব্য ছিল, গত বারো মাস অদ্ভুত এক পরিস্থিতি আমাদের ঘিরে ছিল। তবে আমিও ঠিক করে রেখেছিলাম, আবার মাঠে ফিরে পুরনো বিধ্বংসী মেজাজকে ফিরিয়ে আনতেই হবে। সেই চেষ্টাই করছি।
ক্যান্ডিসের গলাতেও শোনা গেছে সেই সুর। তিনি বলেছেন, এখনও সময় পেলে আমি ডেভিডক এটা বোঝানোর চেষ্টা করি, গত বারো মাসে কী হয়েছে সেটা আর মনে রাখার প্রয়োজন নেই। তুমি নিজের চেনা জগতে আবার ফিরে এসেছ। যেভাবে ক্রিকেটবিশ্ব তোমাকে চিনত, সেভাবেই নিজেকে আবার মেলে ধরতে হবে। যোগ করেছেন, আমাদের জীবনে ডেভিডকে বাদ দিয়ে আর কিছুই নেই। যে কোনও প্রতিকূলতার মুখে আমরা ওর সঙ্গেই থাকব। আশা রাখি, বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ডেভিড এভাবেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে দেশকে ট্রফি উপহার দেবে। আমরা প্রতিনিয়ত এখন এই প্রার্থনাই করে চলেছি।
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//