মোবাইলের কারণে বিপদে ডেভিড বেকহ্যাম
প্রকাশিত : ০৮:৪৫, ১০ মে ২০১৯
আদালত থেকে বের হচ্ছেন ডেভিড বেকহ্যাম।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যাম আদালতের এক নিষেধাজ্ঞার কারণে ছয়মাস গাড়ি চালাতে পারবেন না। তার অপরাধ, গাড়ি চালানো অবস্থায় তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন।
এর আগে একবার গতবছর গতিসীমা লঙ্ঘন করে দ্রুতবেগে গাড়ি চালিয়েছেন তিনি। যার ফলে তার গাড়ি চালানোর লাইসেন্সের উপর শাস্তিমূলক ছয় পয়েন্ট ছিল।
তখন তিনি ৪০ কিলোমিটার গতিসীমার এলাকায় ৫৯ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেবার আইনি এক কৌশলগত কারণে তিনি সাজা এড়াতে পেরেছিলেন।
এখন মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে যুক্ত হয়েছে শাস্তিমূলক আরও ছয় পয়েন্ট। গত বছর ২১ শে নভেম্বর লন্ডন শহরের কেন্দ্রে নিজের প্রিয় গাড়ি বেন্টলী চালানোর সময় বেকহ্যাম ফোন ব্যবহার করছেন রাস্তায় এমন ছবি তুলেছিলেন কেউ একজন।
চার সন্তানের জনক ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা এ ব্যাপারে নিজের দোষ শিকার করেছেন। ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও তাকে ৭৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।
তার বিচারে আদালতের যে খরচ হয়েছে সেই বাবদ আরও ১৭৫ পাউন্ড দিতে বলা হয়েছে। বেকহ্যাম সেদিন প্রচুর গাড়ির উপস্থিতির কারণে খুব ধীর গতির রাস্তায় ফোন ব্যবহার করেছিলেন।
কিন্তু তবুও বিচারক বলেছেন চলমান আইনে এসব অপরাধের জন্য কোন যুক্তি নেই। তিনি তার হাঁটুর উপরে মোবাইল ফোন রেখে সেটিতে কিছু একটা করছিলেন।
কৌশলীরা বলেছেন, ‘তার অর্থ হল রাস্তার দিকে মনোযোগের দেওয়ার বদলে তাকে নিজের কোলের দিকে তাকাতে হচ্ছিলো।’
বেকহ্যামের আইনজীবী জেরার্ড টাইরেল আদালতে বলেছেন, সেদিনকার এসব কথা তার মক্কেলের স্মরণে নেই। তিনি আদালতে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে বলেন যে বেকহ্যাম নিয়মিত তার সন্তানদের স্কুলে আনা নেওয়া করেন।
এতে তার সন্তানদের বঞ্চিত করা হল। ব্রিটেনে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে হাত ব্যবহার না করলেও চলে এমন ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে।
যুক্তরাজ্যে ২০১৭ সালে গাড়ি চালানোর সময় হাত দিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য ৮ হাজারের বেশি লোককে সাজা দেওয়া হয়েছে।
২০১০ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩২ হাজারের বেশি। কিন্তু সাজার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার পর এর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
বেকহ্যামের বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠেছে যে তিনি দেশটির একজন গুরুত্বপূর্ণ ‘রোল মডেল’। তা স্বত্বেও এসব নেতিবাচক কার্যক্রমের কারণে তিনি সঠিক দৃষ্টান্ত রেখে যাচ্ছেন না।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
এমএইচ/