আসন্ন বিশ্বকাপ শাসন করবে ব্যাটসম্যানরাই?
প্রকাশিত : ১৫:৪১, ১৬ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৪৪, ১৬ মে ২০১৯
ইংল্যান্ডে আগামী ৩০ মে যে বিশ্বকাপ শুরু হতে চলেছে, তাতে ব্যাটসম্যানরাই শাসন করবে। কারণ ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মধ্যে যে ওয়ান ডে সিরিজটা চলছে, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।
আসলে এখন যে দেশেই খেলা হোক না কেন, ওয়ান ডে পিচের চরিত্র সব জায়গায় মোটামুটি একই রকম। সে অস্ট্রেলিয়া হোক, ইংল্যান্ড হোক কী ভারতে হোক- ব্যাটসম্যানরাই সর্বত্র সুবিধা পেয়ে থাকে। দর্শকরা ব্যাটসম্যানদের মার দেখতেই মাঠে আসে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও তাই পিচের চরিত্র বদলাবে না। নিষ্প্রাণ উইকেট খেলতে হবে বোলারদের।
ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার কথায় আসা যাক। যদি কোনও দিন আকাশ মেঘলা থাকে, তাহলে আলাদা কথা। না হলে কিন্তু কড়া রোদে সুইংয়ের কোনও নামগন্ধ থাকবে না। জুন মাসে পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে থাকবে বলে একদমই মনে হয় না। যে কারণে বলও সুইং করবে না। আরও একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। ইংল্যান্ডের মাঠগুলো কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় নয়। তাহলে সব মিলিয়ে কী দাঁড়াল? নিষ্প্রাণ পিচ, কড়া রোদ, ছোট মাঠ। অর্থাৎ এক কথায় বোলারদের বধ্যভূমি, ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ।
শুধু তাই নয়, আরও একটা ব্যাপার আছে। সেটা হল, দুর্দান্ত সব হার্ড হিটারের উপস্থিতি। যাদের ব্যাট চলতে থাকলে ৫০ ওভারে চারশো রানও উঠে যাবে।
তাই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানরা কিন্তু বোলারদের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে বিশ্বকাপে। সাউদাম্পটন এবং ব্রিস্টলে ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচের স্কোরকার্ডে চোখ দিলে দেখা যায়, ৩৬০-৩৭০ রান হেসে খেলে উঠে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার ব্রিস্টলে ইংল্যান্ড যেভাবে প্রায় ৩৬০ রান তাড়া করে জিতল, মনে হল, ওটা কোনও স্কোরই নয়। সে রকমটা বিশ্বকাপে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তাহলে এই অবস্থায় কোন দল এগিয়ে শুরু করবে? আসলে যে দলের বোলিং আক্রমণ ভাল, তারাই এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট। এটা পরিষ্কার, সাধারণ মানের বোলারদের এই বিশ্বকাপে নাজেহাল হতে হবে। মিডিয়াম পেসাররা বল ফেলার জায়গা পাবে না। কিন্তু যে দলে সত্যিকারের গতিশীল বোলার আছে বা ভাল স্পিনার আছে, তারা ম্যাচ জিততে পারে। এই সব বোলাররা যদি চার, পাঁচ ওভারও ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারে বা কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে পারে, তাহলে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরে যেতে পারে।