লারা-কপিল দেবকে পেছনে ফেললেন মোসাদ্দেক
প্রকাশিত : ০৯:৫৩, ১৮ মে ২০১৯
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ দল। সেইসঙ্গে মাইলফলক স্পর্শ করলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
শুক্রবার ডাবলিনে শিরোপা জেতানো ম্যাচে মাত্র ২০ বলে ফিফটির দেশিয় রেকর্ড গড়েছেন মোসাদ্দেক। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটিতে ব্রায়ান লারা ও কপিল দেবসহ কিংবদন্তি অনেক ক্রিকেটারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন এই টাইগার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৮৩ সালের ২৯ মার্চ ২১ বলে ফিফটি করে দ্রুততম ফিফটির তালিকায় নাম লেখান কপিল দেব। আর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার বিপক্ষে ২৩ বলে ফিফটি করেছিলেন ব্রায়ান লারা।
তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে এবিডি ভিলিয়ার্সের ১৬ বলে অর্ধশত রানটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকার এ তারকা ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালে জোহান্সবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েন। আর শেষ পর্যন্ত তিনি ১৪৯ রানের ইনিংস উপহার দেন। এতে ১৬টি ছক্কা ও ৯টি চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া, ১৭ বলে ফিফটি রয়েছে শ্রীলংকার জয়সুরিয়া, পেরেরা ও নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলের। ১৮ বলে ফিফটির ইনিংস দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব ৮ বার। এর মধ্যে শহীদ আফ্রিদি একাই তিনবার ১৮ বলে ফিফটি করেন।
দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এতদিন ছিল আশরাফুল ও রাজ্জাকের। দুজনে পৃথক ম্যাচে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন মাত্র ২১ বলের মোকাবেলায়। কিন্তু ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ব্যাটিং ঝড়ে মোহাম্মদ আশারাফুল ও আব্দুর রাজ্জাককেও ছাড়িয়ে যান মোসাদ্দেক।
নটিংহামে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবদুর রাজ্জাকের ২১ বলে ফিফটির রেকর্ডটি পেছনে ফেলেছেন মোসাদ্দেক। ওই ম্যাচে আশরাফুল ৯৪ রান করেন। তার সেই ঐতিহাসিক ইনিংসটি ছিল ৩টি ছক্কা ও ১১টি চারে সাজানো।
আর বুলাওয়েতে ২০১৩ সালের ৫ মে বাংলাদেশের আবদুর রাজ্জাক জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ২১ বলে ফিফটি করেছিলেন। তার ইনিংসটি ছিল ৫টি ছক্কা ও ৪টি চারে সাজানো।
দ্রুততম ফিফটির ক্ষেত্রে বর্তমান সেরা পাঁচ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হলেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২০ বলের মোকাবেলায়, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আব্দুর রাজ্জাক ২১ বলের মোকাবেলায়, মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৬ বলের মোকাবেলায় এবং সৌম্য সরকার ২৭ বলের মোকাবেলায়।