ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বকাপে সবার চোখ বাংলাদেশের দিকে

প্রকাশিত : ০০:০১, ২১ মে ২০১৯

সম্প্রতি সব পারফরম্যান্স মিলিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্যতম পরাশক্তি দল হিসেবে পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে এক বিস্ময়ের নাম এখন টাইগার বাহিনী। তাই আসন্ন বিশ্বকা   পে অন্যতম ফেভারিট মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশকে। 

বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের  ত্রিদেশীয় সিরিজ ছিলো বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতিটা কিন্তু দারুণভাবেই শেষ করেছে মাশরাফিরা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে তাই নিজেদের তারা প্রমাণ করেছে তারা। শিরোপা ছাড়াও আয়ারল্যান্ড থেকে আরও কিছু প্রাপ্তি যোগ হয়েছে তাতে।

বল ও ব্যাট হাতে খেলোয়াড়দের দারুণ পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে এই টুর্নামেন্ট। তাই  বিশ্বকাপের আগে নিজেদের এমন সাফল্য স্বস্তি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। আগামী ৩০ মে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসরের। আর এই বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলেই বাংলাদেশের অর্জন চলে যাবে অনন্য এক উচ্চতায়।  আর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপ্রতিধন্ধী  এমন জয়ের কারণে পুরো বিশ্বক্রিকেটও তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। 

ভারতের সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া তো বলেই ফেলেছেন বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলবে। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ভিডিও বিশ্লেষণে  বাংলাদেশ দলের পাল্টে যাওয়ার পটভূমি টেনে বলেন, ‘২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও নকআউট পর্বে খেলেছে। আর এশিয়া কাপে তো ফাইনালেই খেলেছে। এই দলকে হালকাভাবে নিলে মস্ত ভুল হবে। বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলে, এবারও ভালো খেলবে।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে চোপড়ার উক্তি, ‘বিশ্বকাপে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে শুরুতে ৯ ম্যাচ পাবে বাংলাদেশ। এ বাধা টপকে নকআউট পর্বে উঠবে দলটি।’

ওয়ানডেতে বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে গত দেড় বছরে জয়ের হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আগে রয়েছে কেবল ইংল্যান্ড ও ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় বাংলাদেশের সমান হলেও উইকেট-প্রতি রান কম হওয়ায় তারা পিছিয়ে চতুর্থ হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া আছে অষ্টম স্থানে আর পাকিস্তান নবম। পাঁচ আর ছয়ে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান সাত।

২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের মে মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত হিসেব এটা।  এ সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে দুটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আর এশিয়া কাপ। তিনটি টুর্নামেন্টেরই ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছে একটিতে। মাশরাফি বিন মুর্তজার অধীনে ২৭ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের জয় ১৭টিতে। হার ১০টিতে। গত দেড় বছরে বছরে দুটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আর এশিয়া কাপ ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আর জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে সাকিব-তামিমরা।

৩৫ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের জয় ২৪টিতে। ৮ হারের পাশাপাশি ফল আসেনি তাদের ৩ ম্যাচে। ২ ম্যাচ কম খেলা ভারতের জয়ও ইংল্যান্ড থেকে দুটি কম। ৩৩ ম্যাচে ২২ জয় বিরাট কোহলিদের। ভারতের হার ৭টি। টাই হয়েছে ২টি ম্যাচ। বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বাজে অবস্থা শ্রীলঙ্কার। গত দেড় বছরে ২৬ ওয়ানডে খেলে মাত্র ৬টিতে জিতেছে লঙ্কানরা।

অন্যদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তায়ই দেয়নি টাইগাররা। সব ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে চমক দেখিয়েছে তারা। তাই আসন্ন বিশ্বকাপে বল ও ব্যাট হাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের মত জ্বলে উঠতেই পারলেই আসবে বড় সাফল্য।

 

এনএম/এসএইচ/

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি