বিশ্বকাপ নিয়ে মাশরাফির ভাবনা
প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ১ জুন ২০১৯
বিশ্বকাপ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা, এই দুটো শব্দ একসঙ্গে হলেই ২০১১ বিশ্বকাপ অবধারিতভাবে চলে আসে। সেই বিশ্বকাপে মাশরাফিকে ফিটনেসজনিত কারণে দল থেকে বাইরে রাখেন নির্বাচকরা।
কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম বড় তারকার দলের বাইরে থাকা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। খোদ মাশরাফিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময় আবেগ সামলাতে না পেরে কেঁদেছেন সেইবার।
ক্যারিয়ারে নানা উত্থান-পতন কাটিয়ে মাশরাফি প্রায় ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে মাশরাফির অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ইনজুরি।
শুধু হাটুঁতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। তবু ২০১৪ সাল থেকে অনেকটা নিয়মিতই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, মাশরাফির ওয়ানডে ক্যারিয়ার-
* ম্যাচ ২০৯
* উইকেট ২৬৫
* সেরা ৬/২৬
* গড় ৩১.৫৫
* ইকোনমি ৪.৮১
বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির সবচেয়ে প্রিয় বিশ্বকাপ ২০০৭ সাল, ভারতের দলটি ছিল সেই বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট সেই বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার স্মৃতিটাই মাশরাফির সবচেয়ে প্রিয়।
২০০৩ বিশ্বকাপে মাশরাফি দলে থাকলেও ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনি ৯ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে দলে ছিলেন না মাশরাফি। ২০১৫ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ দল।
বিবিসিকে মাশরাফি বলেন, ‘লেগে থেকেছি অনেকটা দিন, অনেকবার ইনজুরি হয়েছে। হাল ছাড়িনি। কখনও মানুষ যদি চায়, চেষ্টা করে মেহনত করে, আল্লাহ তা’আলা সাহায্য করেন। শেষ স্টেজে এসে পেয়েছিও অনেক। খেলেছি অনেকদিন, অধিনায়কত্ব করেছি, বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছি, সবকিছু মিলিয়ে চেষ্টা করেছি।’
‘একজন প্রশ্ন করেছে বিশ্বকাপ আপনার কাছে কী? আমি বলেছি কিছুই না। আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করি, ব্যক্তি আমার কাছের চেয়ে এটা দলের কাছে ও দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যদি বিশ্বকাপ জিতি সেটা সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপ ফাইনালে হেরেছি সেটা সবাই হেরেছি, জিতলেও আমি একা জিততাম সেটা না, তাই এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই,’ বলছিলেন মাশরাফি।
সূত্র: বিবিসি
একে//