ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

পার্টটাইমার মার্করামে ফিরলেন হাফিজ

প্রকাশিত : ১৮:০৪, ২৩ জুন ২০১৯ | আপডেট: ০৮:২৩, ২৪ জুন ২০১৯

চলতি বিশ্বকাপের ৩০তম ম্যাচে মুখোমুখি টেবিলের তলানির দিকের দুই দল আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাত পাকিস্তান ও `চোকার` খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় দল, বড় নাম, বড় তারকা- কি নেই এ দুটি দলের! স্বাভাবিকভাবেই চলমান বিশ্বকাপের শুরু থেকেই, আরো ভালো ভাবে বললে- বিশ্বকাপের কাউন্টডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসরের সেমিফাইনালের প্রত্যাশিত দলগুলোর মধ্যেই নাম ছিল পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার।

কিন্তু অর্ধেকেরও বেশি পার হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে এসে আসলে বাস্তব চিত্রটা দেখা যাচ্ছে ভিন্ন। একের পর এক হারে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা এরই মধ্যে ফিকে হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। আর `৯২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানও আছে নড়বড়ে অবস্থানে। আরো ভালো ভাবে বললে, বিভিন্ন হিসেবের ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে ইমরান তাহির-আমলাদের বিপক্ষে জিততেই হবে পাকিস্তানকে। নইলে অবস্থান হবে প্রোটিয়াদের মতই। একেবারে `ডু-অর-ডাই` অবস্থা আর কি!

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে `ডু-অর-ডাই` এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েই উড়ন্ত সূচনা করেছে পাকিস্তান। অষ্টম ওভারেই চার-ছক্কা মেরে দলীয় ফিফটি পূর্ণ করে দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। ১৫তম ওভারেই এই জুটি তুলে ফেলেন ৮১ রান। কিন্তু ইনিংসে প্রথমবার বল হাতে এসে পঞ্চম বলেই ফখরকে ভুল শট খেলতে বাধ্য করেন আগের চার বলে ছয় রান দেয়া প্রোটিয়া লেগস্পিনার ইমরান তাহির। তাকে স্কুপ খেলতে গিয়ে উইকেট কীপারের পিছনে আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে দৌড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফখর জামান। আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ছয়টি চার ও একটি ছয়ে ৪৪ রান করেন তিনি।

এরপরই যেন থেমে যায় পাকিস্তানের রানের চাকা। পরের পাঁচ ওভারে মাত্র ১৭ রান তুলে হারিয়ে ফেলে তাদের আরেক ওপেনার রান মেশিন ইমাম-উল-হককে। তার উইকেটটিও তুলে নেন সেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইমরান তাহির। ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে ইমামের বোলারস ব্যাক ড্রাইভটি দারুণ দক্ষতায় ডান হাতে গেথে নেন বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাহিরের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ফখরের মতই ঠিক ৪৪ রান করেন ৫৮ বলে খেলে। যাতে কোন ছক্কা না থাকলেও চার ছিল সমান সংখ্যক।

ইমামের আউটের পর শ্লথ হয়ে যাওয়া রানের চাকা সচল করতে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে জুটি গড়তে থাকেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু দুজনে মিলে ৯.৩ ওভার খেলে ৪৫ রান তুলেই বিচ্ছিন্ন হন পার্টটাইম বোলার মার্করামের স্পিনে। ৩০তম ওভারের শেষ বলে লেগবিফোর হয়ে ফেরার আগে ৩৩ বলে এক ছক্কায় ২০ রান করেন হাফিজ। ফলে ৩০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেটে ১৪৩ রান।

হাফিজ ফেরার পর ক্রিজে এসে বাবর আজমের সাথে জুটি বাঁধেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল। শেষ খবর পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩২ ওভারে তিন উইকেটে ১৫৬ রান। বাবর আজম ৩৮ রানে এবং সোহেল ৬ রানে ক্রিজে আছেন।

চলমান বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে মাত্র একটি জয় নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। পাকিস্তান ধরতে গেলে প্রোটিয়াদের থেকে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। প্রোটিয়াদের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেও সমান সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট সরফরাজবাহিনীর। তাই সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচটি অবশ্যই জিততে হবে পাকিস্তানকে। একই সঙ্গে জিততে হবে বাকি তিন ম্যাচও।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি