সাকিব-সৌম্যের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৮:১২, ২৪ জুন ২০১৯
সাকিব-সৌম্যের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সোমবার টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। স্পিনবান্ধব আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ব্যাটিং পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাঁহাতি-ডানহাতি সুবিধা নেয়ার জন্য এ ম্যাচে সৌম্যকে নিচে নামিয়ে দিয়ে লিটনকে ওপেনে নামিয়ে দেয়া হয়। তবে এ ম্যাচে ওপেনে নেমে সফল হননি লিটন। ব্যর্থ হয়েছেন লিটনের জায়গায় খেলা সৌম্যও।
আগে ব্যটিংয়ে নেমে শুরুতেই আফগান স্পিনার মুজিবের মুখোমুখি হন দুই ওপেনার লিটন-তামিম। তাকে ভালোভাবেই সামলে দেখেশুনেই রান তুলতে থাকেন দুজন। তবে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই লিটনকে শর্ট মিডঅফে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন স্পিনার মুজিবুর রহমান। হাশমত উল্লাহর ধরা সে ক্যাচটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও টিভি আম্পায়ার বার বার দেখে শেষ পর্যন্ত আউট দেন লিটনকে।
ফলে দলীয় ২৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৬ রান করেন লিটন দাস। লিটনের আউটে ক্রিজে তামিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাম্বার ওয়ান, সাকিব আল হাসান। এ দুজনের সতর্ক ব্যাটিংয়ে ১১.১ বলে দলীয় পঞ্চাশে পৌঁছে বাংলাদেশ। আফগান স্পিন সামলে এর কিছুক্ষণ পরেই নিজেদের জুটিতেও পঞ্চাশ ছাড়ান সাকিব-তামিম।
কিন্তু ১৭তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবীকে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। আউট হওয়ার আগে ৫৩ বল মোকাবেলায় চারটি বাউন্ডারিতে ৩০ রান করেন তামিম। এর পরের বলেই অর্থাৎ ১৮ ওভারের প্রথম বলে টাইগার শিবিরে আবারও আঘাত হানার চেষ্টা করেন রশিদ খান।
এবার রশিদের প্রতিপক্ষ ছিলেন সেরা ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। তার বিপক্ষে লেগবিফোর দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যান ২৭ রানে থাকা নাম্বার ওয়ান। পরে ৩৫ রান করে বিশ্বকাপে মোট ২৭ ম্যাচ খেলে ১০০০ রান পূর্ণ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
আগের তিন বিশ্বকাপের ২১ ম্যাচে ৫৪০ রান করা সাকিব ২০১৯ বিশ্বকাপেই এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিসহ করেছেন ৪৭৫+ (৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৪১ ও আজ ৫১) রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না পারলেও আফগানদের বিপক্ষে ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই বাঁহাতি। যদিও এরপরই মুজিবের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বল খেলে মাত্র একটি বাউন্ডারিতে ৫১ রান করেন সাকিব।
সাকিবের আউটের মধ্যে দিয়ে ১৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ক্রিজে এসে মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ওপেনে লিটনকে জায়গা করে দেওয়া বাঁহাতি সৌম্য সরকার। তবে ক্রিজে থিতু হওয়ার আগে তিনিও আলিম দারের আরেকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাত্র তিন রান করে। এবারো শিকারি সেই মুজিব। তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি, তিনটিই লেগবিফোর। ফলে ১৫১ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সৌম্যের বিদায়ে ক্রিজে এসে মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বড় ভায়রা নির্ভরযোগ্য মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৩ রান। মুশফিক ৩৯ রানে এবং রিয়াদ ১ রানে ক্রিজে আছেন।
অবশ্য এই বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান। আফগানিস্তানের স্পিন শক্তি যতই শক্তিশালী হোক, টাইগার ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাসের জায়গা পোক্ত করেছেন যে কোনও আক্রমণ মোকাবেলায়। নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ফর্মে আছেন মুশফিকও।