ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বকাপে কেমন ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স

প্রকাশিত : ১৯:২১, ৬ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৯:২২, ৬ জুলাই ২০১৯

বিশ্বকাপের এবারের আসরে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে খেলা হওয়ায় প্রথম পর্বেই ৯টি করে ম্যাচ পায় প্রতিটি দল। তেমনি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টির জন্য পরিত্যাক্ত হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি।

বাকি আট ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন মোট ১৪ জন। এতে ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে আসে মোট ২১৪৫ রান। যাতে ছিলো ৩টি সেঞ্চুরি ও ১১টি ফিফটি। যেখানে ছিলো ২১০টি চার ও ২১টি ছক্কার মার। রান তোলায় সাকিব বিশ্বকাপের সব ব্যাটসম্যানের মধ্যেই শীর্ষে। ১১ নম্বরে মুশফিক। ত্রিশে তামিম। তেত্রিশে মাহমুদউল্লাহ। ৪৩-এ লিটন দাস। ৪৭-এ সৌম্য সরকার।

এদের মধ্যে এক সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকেই আসে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি এবং দুটি সেঞ্চুরি। তার মোট রান ৬০৬। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম করেন ৩৬৭ রান। যেখানে রয়েছে ২টি ফিফটি এবং একটি সেঞ্চুরি।

তৃতীয় রান সংগ্রাহক হলেন- টাইগারদের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। যদিও এই বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। পাননি কোনও সেঞ্চুরির দেখা। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩৫ রান। যার মধ্যে একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।

অবশ্য দেশ সেরা ব্যাটসম্যানের কাছে বিশ্বকাপে চাওয়া ছিলো আরেকটু বেশিই। কিন্তু বলা যায় ব্যাট হাতে একেবারেই হতাশ করেছেন তিনি। প্রতিটি ম্যাচেই শুরুর পরই আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে। তার ইনিংসগুলো ছিলো- ১৬, ২৪, ১৯, ৪৮, ৬২, ৩৬, ২২ এবং ৮। যেখানে তার সর্বোচ্চ ইনিংসই ছিলো ৬২।

ব্যাটসম্যানদের হতাশার আরেক নাম সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপের আট ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে এই ওপেনারের মোট রান মাত্র ১৬৬ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস মাত্র ৪২ রানের, যা তিনি খেলেন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই। পরের ম্যাচগুলোতে দুর্দান্ত কিছু শট খেলে শুরু করলেও আউট হয়ে গেছেন দ্রুতই। ফলে ব্যর্থ হয়েছেন নিজে, সেইসঙ্গে হতাশ করেছেন বাংলাদেশ দলকে।

তার ইনিংসগুলো ছিলো- ৪২, ২৫, ০২, ২৯, ১০, ০৩, ৩৩ ও ২২। যদিও কয়েকটি ম্যাচে বল হাতে হাত ঘুরিয়ে ৪টি উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি এই পার্টটাইমার। তবে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করেন সৌম্য। এমনকি প্রথম কোন বৈশ্বিক ট্রফি জয়ে ভালো অবদানও ছিলো তার। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে যেন নিজেকেই খুঁজে পেলেন না এই বাঁহাতি। 

তবে এদের তুলনায় বেশ ভালই করেছেন মিডল অর্ডারের কাণ্ডারি, নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাত ম্যাচের ছয় ইনিংসে ব্যাট করে ৪৩.৮০ গড়ে এক ফিফটিতে করেছেন ২১৯ রান। সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। ২০১৫ বিশ্বকাপে সাকিবের মত ওয়ান ডাউনে খেলে টানা দুই সেঞ্চুরি করেন রিয়াদ। এবারের বিশ্বকাপে তার ইনিংসগুলো ছিলো- ৪৬*, ২০, ২৮, ৬৯, ২৭ এবং ২৯।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মোট রানের ৪৫.৩৬ শতাংশ এসেছে সাকিব ও মুশফিকের ব্যাটে। এই দুজন ছাড়া আর কেউ সেঞ্চুরি পাননি, লিটন এক ইনিংসে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসের সাতটিই খেলেছেন সাকিব।

এছাড়া, বাংলাদেশের ৫ ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল এক শর ওপরে। আরও ৫ জনের স্ট্রাইক রেট ছিল ৯০ থেকে ৯৮। দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল আশির ঘরে। স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে তামিম ইকবালের (৭১.৬৪) নিচে কেবল একজনই ছিলেন—মোস্তাফিজ (১৪.২৮)।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি