ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের দৌঁড়ে কে এগিয়ে?
প্রকাশিত : ১৯:০৩, ১২ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৯:০৪, ১২ জুলাই ২০১৯
সেমিফাইনাল শেষ, বাকি শুধু ফাইনাল। তবে ১৪ জুলাই লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য সেই ফাইনালের আগে এখন শুধু শোনা যাচ্ছে একটাই প্রশ্ন! তাহলো- কে হতে যাচ্ছেন এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট? -হ্যাঁ পাঠক, এ প্রশ্নটা এখন থেকেই আলোচিত হচ্ছে ক্রিকেট অঙ্গনে। আর এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসছে নানা ক্রিকেটারের নাম।
তবে সবার আগে উঠে আসছে একজনের নাম। তিনি আর কেউই নন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। সবার আগে তার নামটা উচ্চারিত হবার যথেষ্ট কারণও আছে। তাহলো- এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র সাকিবই যে ব্যাটে-বলে সমান খেলে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অন্যদের ধরাছোঁয়ার অনেক বাইরে।
চলুন দেখে নেয়া যাক, টুর্ণামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে সাকিব ছাড়াও আরও আসছে যাদের নাম। দৌড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ভারতের রোহিত শর্মার নাম। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকার শীর্ষে আছেন বলেই। অবশ্য এ তালিকার তৃতীয় স্থানেই আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান, ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ ও নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন। আবার ব্যাটিং এভারেজে এক নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের কাণ্ডারি কেন উইলিয়ামসন, যিনি অনেকটা একাই দলকে টেনে তুলেছেন ফাইনালে।
সেরা হওয়ার রেসে যারা আছেন, তাদের নামগুলো তো জানা হলো। এবার আসুন এদের নিয়েই করা যাক চুলচেরা বিশ্লেষণ। যাতে আমরা খুঁজে নিতে পারি সেরাদের সেরাকে।
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ
২০১৯ বিশ্বকাপের শুরু থেকে গ্রুপ পর্বের শেষ দিন পর্যন্ত শুধু সাকিব আল হাসানের দিকেই তাকিয়ে আশাবাদী ছিলেন বাংলাদেশের কোটি কোটি ভক্ত-সমর্থক। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয় তাদের। কারণ বাংলাদেশ সেরা চারে তো উঠতে পারেইনি, উপরন্তু আরও চার ধাপ নিচে অর্থাৎ আট নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে দলটি।
তবে সাকিব কিন্তু হতাশ করেননি। যা করেছেন তাতে বিশ্বকাপের মতো আসরে সাকিব আল হাসানের মতো অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আর কারো নেই। যদিও সাকিবের পরিসংখ্যান ও পারফরম্যান্স একটি জায়গাতেই ম্লান হয়ে যায়, কারণ বাদবাকি যারা সব তালিকার ওপরের দিকে আছেন তারা সবাই অন্তত সেমিফাইনাল খেলছে, কয়েকজন ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছেন।
কিন্তু তাদের চেয়ে সাকিব একটা জায়গাতে এগিয়ে, সেটা হলো ব্যাটে-বলে এমন পারফরম্যান্স আর কেউই দেখাতে পারেনি। সাকিব মোট আটটি ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে দুই সেঞ্চুরি আর পাঁচ ফিফটিতে ৬০৬ রান তুলেছেন ৮৬.৫৭ গড়ে। যা এখন পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড়।
অন্যদিকে বল হাতে সাকিব ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১১টি উইকেট। অর্থ্যাৎ বল ও ব্যাট উভয় ক্ষেত্রেই পারফর্ম করে দলের তিনটি জয়ে ভূমিকা রেখেছেন সাকিব। প্রথম দুটি জয়ের একটিতে করেছেন সেঞ্চুরি, একটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। মোট আট ম্যাচ খেলে ৭টিতেই ন্যুনতম ৫০ রান অতিক্রম করেছেন বিশ্বসেরা এ ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৬০০ এর ওপর রান ও ১০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। যেখানে তার সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিলো ৪১ রান। আর এমন নান্দনিক চৌকস পারফরম্যান্স দিয়েই জায়গা করে নিয়েছেন এ বিশ্বকাপের সেরাদের সেরা হওয়ার দৌড়ের প্রথম স্থানে।
ডেভিড ওয়ার্নার, অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বকাপ মানেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের দাপট। ২০১১ বিশ্বকাপ বাদে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই একই দৃশ্য দেখা গেছে। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেইডেনের পর আরো একবার বিশ্বকাপের সেরা হওয়ার দৌড়ে নিজেকে তুলে ধরলেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
চলতি দ্বাদশ বিশ্বকাপে ৩টি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। শুরুটা ধীরগতির হলেও শেষদিকে রানের গতি বাড়িয়েছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৭, বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৬ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২২। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়ার্নার।
সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ৭১.৮৮ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪৭ রান সংগ্রহ তার। সেমি থেকে তার দল ছিটকে পড়লেও এই পারফরম্যান্স দেখিয়ে বাঁহাতি এই মারকুটে ওপেনারও আছেন এবারের আসরের সেরাদের সেরা হওয়ার দৌড়ে।
কেন উইলিয়ামসন, নিউজিল্যান্ড
এ টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহকদের তালিকার দিকে তাকালে কিউই ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসনের রান খুব বেশি মনে নাও হতে পারে। তবে তিনি যেটুকুই করেছেন তাতে তার দল বিপদ থেকে মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকবার।
শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ উইকেটে জয়ের ম্যাচটি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি তেমন উল্লেখ করার মতো রানই করতে পারেনি। তবে সে ম্যাচগুলোতে একাই হাল ধরেন উইলিয়ামসন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭৯, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৬ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৮ রান তোলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক। এক কথায় ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ডের ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসন।
মূলত তাঁর কার্যকরী ভূমিকাতে প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাওয়া জয়ই নিউজিল্যান্ডকে সেমিফাইনালে উঠতে সাহায্য করে। তার নির্ভরযোগ্য কাঁধে ভর করেই টানা দ্বিতীয়বার বিশ্ব আসরের ফাইনালে উঠে গেছে কিউইরা। ফলে টুর্ণামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন তিনিও।
মিচেল স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়া
২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব জয়ের নায়ক ছিলেন মিচেল স্টার্ক। সেবার ২২টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। হয়েছিলেন ম্যান অফ দা টুর্নামেন্ট। তবে এবারের আসরে স্টার্কের দল সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিলেও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ২৭টি উইকেট। শুধু এবারের বিশ্বকাপ নয়, গত ১২টি আসরের মধ্যে সেরা প্রাপ্তি। যা নিয়ে তিনি ভেঙেছেন তারই স্বদেশী পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রাথের (২৬টি) আগের বিশ্বরেকর্ড।
বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬টি উইকেট। মিচেল স্টার্ক চলতি বিশ্বকাপেই ২ বার চারটি করে ও ২ বার পাচঁটি করে উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপের মতো আসরে মোট ৩বার পাঁচ উইকেট নেয়ার রেকর্ডও এখন তার। তার গড় মাত্র ১৮.৫৯, ইকোনমি রেট ৫.৪৩। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে স্টার্কের মোট উইকেট সংখ্যা ১৭ ম্যাচে ৪৯টি। আর এমন পারফরম্যান্সের জন্য তিনিও আছেন এ বিশ্বকাপের সেরা হওয়ার দৌড়ে।
জো রুট, ইংল্যান্ড
ইংলিশদের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট এ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তার ওপর ২৭ বছর পর ফাইনালে উঠেছে তাঁর দল। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে দুটি শতক ও তিনটি অর্ধশতকে ৬৮.৬২ গড়ে ৫৪৯ রান করেছেন তিনি। যার স্ট্রাইক রেট ৯২.৮৯। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাল ধরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৭, উইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন রুট। এছাড়া বিশ্বকাপের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫১ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি।
এছাড়াও একটা জায়গায় সাকিব ছাড়া অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন জো রুট। তাহলো- এবারের বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ১২টি ক্যাচ ধরেছেন তিনি। সেইসঙ্গে উইকেটও নিয়েছেন ২টি। তাইতো ফাইনাল ম্যাচ হাতে রেখেও এবারের টুর্ণামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে তাই তাঁর নামটি উঠছে জোরালো ভাবেই।
রোহিত শর্মা, ভারত
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে পাচঁ পাচঁটি সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মাই এই বিশ্বকাপে ভারতের পোস্টার বয়। ভারতের ব্যাটিংয়ের টোন সেট করার দায়িত্বটা তারই, তবে শুরু থেকে তার ওপর চাপ ছিল পাহাড় সমান। বিশেষত শেখর ধাওয়ান ছিটকে যাওয়ার পর ভারতের টপ অর্ডারের দায়িত্ব কাঁধে চাপে রোহিতের। যে চাপ তিনি নিতে পারেননি সেমিতে এসে।
তবুও ৯ ম্যাচে পাঁচ সেঞ্চুরি ও একটি মাত্র ফিফটিতে ৮১ গড়ে ৬৪৮ রান তুলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের শীর্ষেই আছেন রোহিত। তবে এ পর্যন্ত আসতে জীবনও পেয়েছেন বেশ কয়েকটি। যেসব ম্যাচে প্রতিপক্ষ রোহিত শর্মার ক্যাচ মিস করেছে, তার মধ্যে চারটি ম্যাচেই একটি ফিফটি ও ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অর্থাৎ সুযোগ পেলে একজন ব্যাটসম্যান যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন রোহিত।
তবে সেমিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১ রান করে আউট হলে ভারতও হেরে যায়। এতেই বোঝা যায়, রোহিত শর্মার ব্যাটের ওপর ভারতের নির্ভরশীলতা ঠিক কতখানি ছিলো এবারের বিশ্বকাপে। তাইতো এবারের বিশ্বকাপের সেরা হওয়ার দৌড়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাই ছিলো ডানহাতি এই ওপেনারের।
এ তো গেলো এ বিশ্বকাপের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা খেলোয়ারড়দের আলোচনা। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক, এর আগের আসরগুলোতে কারা হয়েছিলেন টুর্ণামেন্ট সেরা।
বিশ্বকাপের আসর ১৯৭৫ থেকে যাত্রা শুরু করলেও `ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট` পুরস্কারটি দেয়া হচ্ছে সেই ১৯৯২ সাল থেকে। সেবার টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার জিতেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান মার্টিন ক্রো। ৪৫৬ রান করেছিলেন তিনি। যদিও তার দল খেলেছিল সেমিফাইনাল পর্যন্তই।
এরপর ১৯৯৬ সালে টুর্নামেন্ট সেরা হন লঙ্কান ওপেনার সনৎ জয়সুরিয়া। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ২২১ রানের সঙ্গে ৭টি উইকেটও নেন শ্রীলঙ্কান এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
১৯৯৯ সালে টুর্নামেন্ট সেরা হন ল্যান্স ক্লুজনার। যদিও সেবার সেমিফাইনালে নাটকীয়ভাবে হেরে যায় তার দল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে ২৮১ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন ক্লুজনার।
এরপর ২০০৩ সালে ব্যাটিং ইতিহাসে বিশ্বকাপের সেরা একটি পারফরম্যান্স দেখান ব্যাটিং মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। ৬৭৩ রান করেছিলেন তিনি। যদিও ফাইনালে খেলে হেরে গিয়েছিল তার দল ভারত।
আর ২০০৭ সালে টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার পান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রা ১৭টি উইকেট নিয়ে। ২০১১ সালে পান যুবরাজ সিং। ৩৬২ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন এই অলরাউন্ডার। তাঁর এমন পারফরম্যান্সে সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।
এ বিশ্বকাপের আগে যুবরাজ সিংয়ের ওই পরিসংখ্যানই ছিল বিশ্বকাপের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। তবে এখন তা শুধুই অতীত। এবারের আসরে তাকে টপকে অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেইসঙ্গে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছেন, প্রামাণ করেছেন কেন তিনি সবার থেকে সেরা।
যাইহোক, ২০১৫ সালে আবারো চ্যাম্পিয়ন হয় সেই অস্ট্রেলিয়া। আবারো বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার এক অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলার মিচেল স্টার্ক। সেবার ২২টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
উপরের এসব বিশ্লেষণ থেকে এটাই বোঝা গেল যে, শুধু যে ফাইনালের সেরা বাঁ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যই আসর সেরা হবেন তা সঠিক নয়। এমন কোন ধরাবাঁধা নিয়মও নেই। তাইতো এখন পর্যন্ত সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখানো একমাত্র সাকিব আল হাসানই আছেন সেরাদের সেরা হওয়ার দৌড়ে একনম্বর স্থানে। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা, বিশ্বসেরার হাতে বিশ্বসেরা পুরস্কারটি ওঠার।
এনএস/এসি