মাত্র ৩৮ রানেই অলআউট!
প্রকাশিত : ২১:১৪, ২৬ জুলাই ২০১৯
ইতিহাস গড়ার জন্য লক্ষ্যটা ছিলো মাত্র ১৮২ রানের। তাতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের অভিষেক জয়ের স্বপ্নই দেখছিল নতুন সদস্য আয়ারল্যান্ড। কিন্তু জয় তো দূরে থাক, কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি দলটি। উল্টো নিজেরাই হয়ে গেলেন লজ্জার ইতিহাসের অংশ! দুই ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রডের তোপে মাত্র ৩৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে হেরে গেছে আইরিশরা।
ফলে শুক্রবার (২৬ জুলাই) লর্ডসে সিরিজের একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৩ রানের বিশাল জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সফরকারীরা হাতেগোনা রানে অলআউট হওয়ায় পেসবান্ধব উইকেটে অনুষ্ঠিত হওয়া চার দিনের ম্যাচটি শেষ হয়েছে তৃতীয় দিনেই।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি সপ্তম সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর হলেও গত ৭৩ বছরের মধ্যে কোনো দলের সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার নজির এটাই প্রথম। লাল বলের সংস্করণে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা এখনও নিউজিল্যান্ডের দখলে। ১৯৫৫ সালে ইংলিশদের কাছেই মাত্র ২৬ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা।
এদিন ৯ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। দিনের প্রথম বলেই স্টুয়ার্ট থম্পসন ফেরান অলি স্টোনকে। ফলে ওই রানেই থামে দলটির দ্বিতীয় ইনিংস। জো রুটরা পান ১৮১ রানের লিড।
তবে ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংস টিকেছে মাত্র ১৫.৪ ওভার। ওপেনার জেমস ম্যাককলামই কেবল দুই অঙ্কের দেখা পান। করেন সর্বোচ্চ ১১ রান। অন্যদের কথা না বলাই ভালো। অন্যদিকে বল হাতে আগুন ঝরিয়ে ওকস আর ব্রড মিলে তুলে নেন প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ১৭ রানে ৬ উইকেট পান ওকস। আর ৪ উইকেট দখল করতে ব্রড খরচ করেন ১৯ রান।
এর আগে আইরিশ পেসারদের দাপটে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থামে মাত্র ৮৫ রানে। রঙিন পোশাকের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের লজ্জায় ডুবিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২০৭ রান তুলেছিলেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডরা। ফলে অবিস্মরণীয় এক জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাদের। সেই আশার পালে হওয়া লাগে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশোতে অলআউট হলে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় টেস্টে প্রথম জয়ের দেখা পাওয়ার অপেক্ষা আরও বাড়ল টেস্টে নবাগত এ দলটির।
এর আগে মাত্র দুটি টেস্ট খেলা আইরিশরা হেরেছে দুটিতেই। ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে এবং পরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি পোটারফিল্ড বাহিনী। আর এবারে ভাগ্য বদলানোর সব আয়োজন সম্পন্ন করেও প্রতিবেশির বিপক্ষে সেই হারের বৃত্তেই আটকে থাকতে হলো আইরিশদের।
এনএস/এসি