ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শুরু হচ্ছে টেস্ট বিশ্বকাপ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬, ২৮ জুলাই ২০১৯

ক্রিকেটে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রচলন রয়েছে। এ সম্পর্কে অনেকেই বেশ ধারণাও রাখেন। কিন্তু টেস্ট বিশ্বকাপও চালু হচ্ছে তা কি জানেন?  ইংল্যান্ডেই আগামী ১ আগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে এই টেস্ট বিশ্বকাপ।

প্রথম বার হতে চলা এই টেস্ট বিশ্বকাপ কেন হবে? কত দিন ধরে চলবে ক্রিকেটের সব থেকে দীর্ঘ ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপ? এরকম প্রশ্ন অনেকের মনে উঁকি দিতে পারে। তবে জেনে নেওয়া যাক এর খুঁটিনাটি।

এক সময় ক্রিকেটে শুধুই টেস্ট ম্যাচ ছিল। কিন্তু এই খেলাটিকে জনপ্রিয় করার জন্য একদিনের ক্রিকেট বা সীমিত ওভারের ম্যাচ চালু করা হয়। এরপরে একে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য আসে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট। যার ফলে টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ ক্রমে হারাতে থাকে। সেই টেস্ট ক্রিকেটে মানুষকে আকৃষ্ট করতে আইসিসি নয়া উদ্যোগ নেয়।

২০০৯ সালে প্রথম বারের মতো আইসিসির মাথায় আসে টেস্ট বিশ্বকাপের ভাবনা। টেস্ট খেলার সব দলগুলো নিয়ে এক অভিনব বিশ্বকাপের পরিকল্পনা পেশ করে তারা। নাম ঠিক করা হয় ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। যা লোক মুখে হয়ে যায় টেস্ট বিশ্বকাপ।

২০১০ সালে সেই পরিকল্পনা পাস হয় আইসিসিতে। তারা ঠিক করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিবর্তে ২০১৩ সালে হবে এই বিশ্বকাপ। কিন্তু আর্থিক কারণে পিছিয়ে আসে আইসিসি। ২০১৩ সাল থেকে পিছিয়ে ঠিক হয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হবে ২০১৭ সালে। কিন্তু এবারেও তা সম্ভব হয় না। বার বার পরিবর্তিত হতে থাকে এই চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম।

অবশেষে এ বছর শুরু হতে চলেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। শুরু হচ্ছে সেই ইংল্যান্ডেই। অ্যাসেজ টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হবে এই বিশ্বকাপ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে তোলার জন্য এই টেস্ট বিশ্বকাপ হতে চলেছে এক অনন্য নিয়মে।

২০১৯-এর ১ আগস্ট থেকে ২০২১-এর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হওয়া সমস্ত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়ে উঠবে এই বিশ্বকাপের অঙ্গ। টেস্ট ক্রিকেটে রাঙ্কিংয়ের প্রথম ৯টি দেশকে নিয়ে চলবে এই বিশ্বকাপ।

২১ মাসের এই দীর্ঘ বিশ্বকাপে প্রতিটা দেশ খেলবে ৬টি করে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এক একটি সিরিজের পয়েন্ট হবে ১২০। যার ফলে প্রতিটা দেশের মোট পয়েন্ট হবে ৭২০। তাই কোন দেশের বেশি বা কম ম্যাচ খেলা দিয়ে বিচার্য হবে না পয়েন্টের হিসাব।

তাহলে কী ভাবে নির্ধারিত হবে এই বিশ্বকাপ বিজয়ী দল? ২০২১-এর ৩০ এপ্রিলের পর পয়েন্টের হিসেবে যে দুটি দল উপরে থাকবে তাদের মধ্যে জুন মাসে হবে ফাইনাল। সেই ফাইনাল খেলাটিও হবে ইংল্যান্ডে। এর মাধ্যমেই প্রথম টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেট বিশ্ব।

টেস্টের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে এটি আইসিসির একটি অভিনব উদ্যোগ। পিঙ্ক বল টেস্ট, ডে-নাইট টেস্ট, টেস্ট জার্সিতে নম্বর এরকম অনেক অভিনব উদ্যোগের সঙ্গে যোগ হচ্ছে এই বিশ্বকাপ। দেখার বিষয় কতটা সফল হয় এই উদ্যোগ। সেই দিকেই নজর থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি