ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

অনায়াস জয়ে সিরিজ শ্রীলঙ্কার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৭, ২৮ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৩৯, ২৮ জুলাই ২০১৯

২৩৮ রান ‘ডিফেন্ড’ করতে যে বোলিংটা দরকার ছিল, সেটাই করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দুই শ্রীলঙ্কান ওপেনারকে ফেরাতেই ঘাম ছুটে গেছে বোলারদের। সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে তার আগেই। পরে ২৩-২৮ এই পাঁচ ওভারের মধ্যে পেরেরাকে ফিরিয়ে মাত্র পাঁচ রান দিলেও ম্যাথিউজের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত অনায়াসেই জয় পায় স্বাগতিকরা।

এর আগে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি মিরাজ। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নকে (১৫) বোল্ড করে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন মিরাজ। কিন্তু ততক্ষণে শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলেছে ৭১ রান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল পেরেরাকে নিয়ে আজ সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন অভিষ্কা ফার্নান্দো। সেটা অবশ্য হতে দেননি মোস্তাফিজ। কাটার মাষ্টারের বলে তামিম ইকবালের ক্যাচ হওয়ার আগে ফার্নান্দো করেছেন ৮২ রান। 

পরে পেরেরাকেও (৩০) তুলে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরানোর ইঙ্গিত দেন দ্য ফিজ। কিন্তু তা ওই পর্যন্তই। মেন্ডিস ফেরার ফলে ২৩ ওভার থেকে ২৮ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ওপর যেভাবে চেপে বসেছিলেন টাইগার বোলাররা তা আর ধরে রাখতে পারেননি তামিমের অনভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন্সির কারণে। 

ওই সময় চাপ আরও বাড়ানোর বদলে সাব্বিরকে এনে উল্টো চাপমুক্ত করেন শ্রীলঙ্কাকে। চড়াও হয়ে খেলতে থাকা ম্যাথিউজ ও মেন্ডিজ শেষ পর্যন্ত ৯৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে অনায়াসেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। সাত উইকেট এবং ৩২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেন দুজনে। সঙ্গে নিশ্চিত করেন সিরিজও। 

এদিকে ৭৫ বলে নয় চার ও দুই ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো।

এদিন শ্রীলঙ্কার সামনে বড় কোনো লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য তামিমদের ২৩৮ রানই হয় না, যদি মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসটা না আসত। লড়াকু ইনিংস খেলা বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অবশ্য পরে কিপিং করতে নামেননি।

এদিকে, এ ম্যাচ হেরে সিরিজ হাত ছাড়া হলেও ধবলধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগামী ৩১ জুলাই তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তামিম বাহিনী।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি