ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

তামিমকে নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৮, ৩১ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ০০:১১, ১ আগস্ট ২০১৯

শেষ ম্যাচেও কোনো প্রকার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। না বোলিংয়ে না ব্যাটিংয়ে। দুই বিভাগেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে এক প্রকার উড়ে গেছে টাইগাররা। ফলাফল তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। বুধবার কলম্বোর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১২২ রানে। বড় হারে লজ্জায় শেষ হলো বাংলাদেশের লঙ্কা মিশন।

সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কলম্বোর আগের ম্যাচেই। তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা চোখ রাঙাচ্ছিল। বুধবারের ম্যাচে হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে শেষটা অন্তত জয় দিয়ে রাঙিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে। কিন্তু উল্টো দেখা গেল ব্যর্থতার একই দৃশ্য।

সাদামাটা বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগহ করলো ২৯৪। ২৯৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩৬ ওভারেই অলআউট ১৭২ রানে। 
 
এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টানা দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জায় ডুবলো তামিমরা। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর আবার শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো তাদের।

এদিন ওপেনিং জুটি বদল করেও লাভ হয়নি। এনামুল হককে নিয়ে ব্যাটিং ইনিংস শুরু করলেও ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া তামিম আবারও হতাশ করেন মাত্র ২ রানে ফিরে গিয়ে। অন্যদিকে লম্বা সময় পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগটা একেবারেই কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল, ২৪ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে যান তিনি।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামিমের তুমুল সমালোচনায় মেতে উঠেছেন ভক্ত-সমর্থকরা। অনেকে নেতিবাচক সমালোচনা ও তীর্যক বানে জর্জরিত করলেও, কিছু কিছু ইতিবাচকভাবেও লিখেছেন ভক্তরা। 

তাদেরই একজন তারিক রায়হান ফুয়াদ। এই নামের ওই ফেসবুক ইউজার লিখেছেন, তামিমের উচিত কিছুদিন ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নেয়া। এসময়ে তিনি তার ফিটনেস ও টেকনিক নিয়ে কাজ করবেন। ভবিষ্যতে আমাদের তামিমকে প্রয়োজন। বাংলাদেশ দলের তাকে প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে ভাবুন, তামিম।

মুহিব মাহমুদ নামের একজন লেখেন, আমি সত্যিই তামিমের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। দুঃসহ অধ্যায়ের যেন শেষ হচ্ছে না! 

তানিশা তানভি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, গ্রেট জব তামিম ইকবাল। তামিম ইকবালের মত এমন একজন অধিনায়ক পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত।

আসলাম পারভেজ তো সরাসরিই লিখেছেন, তামিম ইকবালকে আর চাই না......বিরক্তিকর!

শরিফ ডি জে হাসান নামের আরেকজন লিখেছেন, গুল্লি মারি! তামিম ও মাহমুদউল্লাহর কি হয়েছে? এদের দুজনকেই দল থেকে বাদ দেয়া উচিত...। 

মুদাচ্ছির মাহমুদ মাশুক লিখেছেন, ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য সব জমা করে রাখছেন তামিম ইকবাল। খুব ভাল পারফরম্যান্স নিয়েই আসছেন তিনি। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই অপেনারকে সবারই সমর্থন দেয়া উচিত।

আরস্লান মায়ো নামের একজন আরেক ধাপ বাড়িয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশ এই ত্রিদেশীয় সিরিজে হেরেছে, এমনকি ২০১৯ বিশ্বকাপেও হেরেছে। কারণ তামিম পারফর্ম করতে পারেনি। তারপরও তাকেই ক্যাপ্টেন বানানো হয়েছে। বিসিবি কি পাগল, নাকি? 

আপনার দলের ওপেনারই যদি রান না পায়, তাহলে আপনি কখনই ম্যাচ জিতিতে পারবেন না। তাছাড়া বাংলাদশ দলে একজন লেগ স্পিনার খুবই প্রয়োজন। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনই সব আলোচনা-সমালোচনায় মেতে ওঠেন হাজারো টাইগার ভক্ত সমর্থকরা।

এনএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি