বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিয়ে কত আয় জানেন?
প্রকাশিত : ১৩:১৯, ৬ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০৬, ৬ আগস্ট ২০১৯
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথম বারের মতো আইসিসি চুক্তি করেছিল ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে। এর আগে ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে চুক্তি করত সম্প্রচারকারী চ্যানেল। এবারের বিশ্বকাপের জন্য নিজেরাই ২৪ জনের একটা ধারাভাষ্য দল তৈরি করে নিয়েছিল আইসিসি।
২০১৯ বিশ্বকাপে ২৪ জনের এই ধারাভাষ্যকারের দলকে তিন ভাগে ভাগ করেছিল আইসিসি। গ্রেড এ, বি এবং সি।
আইসিসির একটি সূত্র থেকে জানা যায়, গ্রেড এ-তে থাকা মাইকেল ক্লার্ক, নাসির হুসেন ও সঞ্জয় মাঞ্জরেকার টুর্নামেন্টের জন্য পেয়েছেন পাঁচ কোটি টাকার ওপরে। এর সঙ্গে প্রতি ম্যাচের জন্য পেয়েছেন প্রায় ২৫ লাখ টাকা করে।
অন্যদিকে গ্রেড বি-তে ছিলেন সৌরভ, হর্ষ ভোগলে, ওয়াসিম আকরাম, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, ইয়ান বিশপদের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। এরা প্রতিজনে পেয়েছেন টুর্নামেন্টের জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা করে এবং ম্যাচ প্রতি আয় ছিল প্রায় ২১ লাখ টাকা করে।
আইসিসির এই ধারাভাষ্যকার প্যানেলে যে তিন মহিলা ধারাভাষ্যকার ছিলেন তারা হলেন- ইশা গুহ, মেলানি জোন্স এবং অ্যালিসন মিচেল। এদের মধ্যে একমাত্র অ্যালিসন মিচেলই এমন ধারাভাষ্যকার যিনি ক্রিকেটার নন।
এই অ্যালিসন মিচেল রয়েছেন গ্রেড বি-তে। মহিলা ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে তিনিই আয়ের হিসেবে এগিয়ে। বিবিসির এই প্রাক্তন কর্মীর সিরিজ প্রতি আয় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা এবং ম্যাচ প্রতি আয় ছিল প্রায় ২১ লাখ টাকা।
অন্যদিকে ইশা গুহ এবং মেলানি জোন্স রয়েছেন গ্রেড সি-তে। তাদের সিরিজ প্রতি আয় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা এবং ম্যাচ প্রতি আয় প্রায় ১৮ লাখ টাকা। শুধু তারাই নন গ্রেড সি-তে রয়েছেন আরও অনেক ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন কুমার সাঙ্গাকারা, মাইকেল হোল্ডিং-এর মতো ক্রিকেটার। এরা পেয়েছেন সিরিজ প্রতি প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা এবং ম্যাচ প্রতি প্রায় ১৮ লাখ টাকা করে।
আইসিসির অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে ভারতীয় ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় ছিল সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের। তিনি এক সম্প্রচারকারি চ্যানেল থেকে প্রতি সিরিজে ভারতীয় মুদ্রায় পেতেন প্রায় চার কোটি টাকা। এছাড়া প্রতি ম্যাচের জন্য পেতেন প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
তবে সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড়, হর্ষ ভোগলে, সুনীল গাওভাস্কাররা ম্যাচ প্রতি মাঞ্জরেকারের মতো প্রায় ১৮ লাখ টাকা পেলেও সিরিজ প্রতি পেতেন সাড়ে তিন কোটি টাকা করে।
এএইচ/