একনজরে ডমিঙ্গোর কোচিং ক্যারিয়ার
প্রকাশিত : ১৩:৫৪, ১৮ আগস্ট ২০১৯
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টাইগারদের জন্য সম্প্রতি নতুন কোচ নিয়োগ করেছেন। নিয়োগ পাওয়া কোচের পুরো নাম রাসেল ক্রেইগ ডমিঙ্গো।
১৯৭৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে জন্ম তার। ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারে তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয় সারির লিগ পর্যন্তই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
খোলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের ইতি টানেন মাত্র ২০ বছর বয়সে। খেলা ছেড়ে স্পোর্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মার্কেটিংয়ের ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন প্রভিন্স যুব দলের কোচের দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো। ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৯ , বি দল ও এ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বেও।
এদিকে ২০০৫ সালে মিকি আর্থার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল ওয়ারিয়র্সের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিলে সে দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো।
দায়িত্ব নেওয়ার পর ডমিঙ্গো দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান গ্যারি কারস্টেনকে নিয়ে ৩৫ দিনের ক্যাম্প করেন। ডমিঙ্গোর তত্ত্বাবধানে ওয়ারিয়র্স জেতে দুটি ট্রফি। তার দল থেকে ৬জন সুযোগ পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে।
এদিকে ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হন গ্যারি কারস্টেন। তার সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান ডমিঙ্গো। যা তাকে আরও বড় সুযোগের দরজা খুলে দেয়।
পরের বছর টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়ে যান ডমিঙ্গো। পরে ২০১৩ সালে গ্যারি কারস্টেন প্রধান কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিলে তিন সংস্করণেই প্রধান কোচের দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো।
ডমিঙ্গোর অধীনে ১৩ টেস্ট সিরিজের ৮টিতে জয়ী হয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের সাত থেকে দুইয়ে উঠে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডমিঙ্গোর সময়ে ২২ ওয়ানডে সিরিজের ১৪টিতে জয়ী হয়ে ওয়ানডেতে শীর্ষ দল হিসেবে জায়গা করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টিতে ৪২ ম্যাচের মধ্যে ২৩ জয় এসেছে তার সময়ে। তার অধীনেই ২০১৫ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব ছাড়েন ডমিঙ্গো। সবশেষ টি-টোয়েন্টি গ্লোবাল লিগের দল প্রিটোরিয়া ম্যাভরিকের দায়িত্বে ছিলেন ডমিঙ্গো।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে আবারো জাতীয় দলের সাথে সম্পৃক্ত হবেন এই প্রোটিয়া। আগামী ২ বছর তার হাতেই থাকছে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব।
এমএইচ/