ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

জহিরের স্পিনেই ‘কুপোকাত’ বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩০, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রশিদ-নবীদের স্পিন নিয়েই ছিল যত ভয়। তবে এদেরকে ছাপিয়ে টাইগারদের সামনে হাজির হয়েছে আরেক স্পিন জুজু! নতুন এই জুজুর নাম জহির খান। যার সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করল বিসিবি একাদশ। গুটিয়ে গেছে মাত্র ১২৩ রানেই। যার ৫টিই গেছে ২০ বছর বয়সী এ চায়নাম্যানের দখলে। যদিও রশিদ নিয়েছেন ৩টি।

১৬৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৪ রান তোলে আফগান একাদশ। তবে আলোক স্বল্পতার কারণে একটু আগেভাগেই ড্র ঘোষণা করা হয় দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি। যেখানে নিজদের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই সারলো রশিদ এন্ড কোং।  

আজ সোমবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। কিন্তু সেশন শেষ হতেই শেষ হয়ে গেছে বিসিবি একাদশের ইনিংসও। অর্থাৎ এক সেশনের কিছু বেশি সময়ে ৯৭ রান তুলতেই বাকি আট উইকেট খুইয়েছে স্বাগতিকরা।

শুরুতেই সায়েদ শিরজাদের শিকারে পরিণত হন ফাজলে মাহমুদ রাব্বি। মাত্র ৮ রান করে আউট হন তিনি। এতে দলীয় ৩৭ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে স্বাগতিকদের। চতুর্থ উইকেটে আল-আমিন জুনিয়রের সঙ্গে বিপর্যয় এড়াতে লড়েন অভিজ্ঞ নাঈম। তবে ব্যক্তিগত সংগ্রহকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান।

বাঁহাতি স্পিনার জহির খানের বলে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে ধরা পড়লে বিদায়ঘন্টা বাজে দীর্ঘদিন পর সুযোগ পাওয়া নাঈমের। ফেরার আগে করেন মাত্র ১৩ রান। ফলে ৬০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বিসিবি।

এরপর ম্যাচে আশা জাগালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আল-আমিন জুনিয়র (২৯) ও নুরুল হাসান সোহানের (১৫) কেউ-ই। যার ফলে ১২৩ রানেই অল আউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

এর আগে ৯ উইকেটে ২৮৯ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক রশিদ খান। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন ওপেনার ইহসানউল্লাহ। তাছাড়া অপর ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান।

আর স্বাগতিক দলের বোলারদের মধ্যে ওই ইনিংসে সফলতার মুখ দেখেন দুজন। অফ-স্পিনার আল-আমিন জুনিয়র পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। আর মিডিয়াম পেসার সুমন খানের প্রাপ্তি ৩ উইকেট।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি