ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টাইগারদের ইতিহাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩১, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৪০, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে জয় তুলে নিল টাইগার যুবারা। যাতে ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। রোববার নিয়মরক্ষার এ ম্যাচে ৩১৬ রান তুলে স্বাগতিকদের ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে হারায় অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

প্রায় ৯ বছর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন শতাধিক রান করেছিল বাংলাদেশ। নেপিয়ারের সেই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৭ রান করেছিল যুবা টাইগাররা। এতদিন বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটে এটাই ছিলো সর্বোচ্চ সংগ্রহ। তবে রোববার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে যুবারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে সংগ্রহ করেছে ৩১৬ রান। যা বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটে এখন সর্বোচ্চ সংগ্রহ। 

এদিন সকালে লিঙ্কন বার্ট-সাটক্লিফে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল তার প্রমাণ মেলে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে। 

ওপেনিং জুটিতেই ১২০ রান তুলে ফেলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ১৫তম ওভারে এই ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন কিউই বোলার ডিকসন। এরপর সকলের মাঝারি মানের হলেও সম্মিলিত অবদানে দলের সংগ্রহ পৌঁছায় ৩১৬ রানে।

আউট হওয়ার আগে তানজিদের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যা তিনি সাজান ১১টি চার ও ২টি ছক্কায়। তানজিদ ছাড়া আর কেউ ফিফটি না পেলেও ৪৮ রানে আটকেছেন দলের তিন ব্যাটসম্যান। তানজিদের উদ্বোধনী সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন ৫৫ বলে ৪৮, মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন ৬৯ বলে ৪৮ এবং অভিষেক দাস করেন ৩৬ বলের ঝোড়ো এবং কার্যকরী ৪৮ রান। এ চারজনের ব্যাটে ভর করে রেকর্ডগড়া সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

জবাবে ৩১৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপরে বাংলাদেশের শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কিউইরা। যদিও এমন চাপে লড়াই করে যান ফের্গাস লেলমান, জক ম্যাকেঞ্জি ও অধিনায়ক জেসে টাসকফ। আউট হওয়ার আগে লেলমান ৫৬, ম্যাকেঞ্জি ৪৭ ও  টাসকফ ৩৯ করেন। তবে দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। তাদের অর্জন শুধুমাত্র ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।

টাইগার যুবা পেসার শরিফুল ইসলাম একাই তুলে নেনে কিউইদের পাঁচটি উইকেট। ৮.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৩ রানের বিনিময়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেট পেলেন ছয় ফিট তিন ইঞ্চি হাইটেই এই দীর্ঘদেহী বাঁহাতি পেসার। যার পুরস্কার সরূপ ম্যাচ সেরাও হন তিনি। 

একইসঙ্গে সিরিজে ১১ উইকেট নিয়ে হন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। আর ব্যাটিংয়ে চার ফিফটিতে ২৮০ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। যার পুরস্কার সরূপ সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন এই জুনিয়র তামিম। সিনিয়র তামিমের মত তিনিও আলো ছড়াচ্ছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি