ফাইনাল ম্যাচে যেমন থাকবে নাগপুরের আকাশ
প্রকাশিত : ১৩:০৫, ১০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথমবারের মত দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে ভারতে বাংলাদেশ। চলমান টি-টোয়েন্ট এ সিরিজে রোহিতদের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে ভারতের প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়তে হয়েছে মাহমুদুল্লাহ- মুশফিকদের।
তবে প্রথম ম্যাচে ভারতের বায়ুদূষণের প্রভাব কিছুটা পড়লেও পরের ম্যাচে তার ছিটে ফোঁটাও ছিলনা। আজ নাগপুরে ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামছে স্বাগতিক ভারত ও সফররত বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারণী এ ম্যাচের আগে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে বাংলাদেশসহ ভারতের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। পশ্চিবঙ্গে মারা গেছে দুইজন।
তবে আশার কথা হলো, দিল্লির অনেক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হলেও, ঘূণিঝড়ের প্রভাব ও বৃষ্টি থেকে নিরাপদে আছে নাগপুরের আকাশ।
স্থানীয় আবহাওয়া বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাব নাগপুরে নেই। নাগপুরের আকাশ থাকবে রৌদ্রোজ্জ্বল ও শুষ্ক। ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে ম্যাচটি।
রোববার (১০ নভেম্বর) এ নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুখোমুখি হবে দু’দল।
সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে, নাগপুরের এ মাঠে খুব বেশি বড় স্কোরের মাইলফলক নেই। দিল্লির মতোই বল কিছুটা টার্ন হবে এ মাঠে। ফলে, দেড়শ রানকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর বলে মনে করছে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গ।
এ মাঠে স্বাগতিকদের অতীত পারফর্মেন্স খুব একটা সুখকর নয়। ফলে, এ খবর টাইগার শিবিরে অনেকটা স্বস্তিরই বটে।
নাগপুরের এই মাঠে স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ স্কোর ৯ উইকেটে ১৮৬ রান। কিন্তু, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে হেরেছিল কোহলিরা।
এমনকি, এ মাঠে ২০১৬ সালের কিউইদের বিপক্ষে মাত্র ৭৯ রানে অলআউট হওয়ার তীক্ত অভিজ্ঞতা আছে ভারতীয় শিবিরের। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে এ মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোতে বড় স্কোরের খবর দিচ্ছেনা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
তাইতো, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন টাইগার কোচ। রাসেল ডোমিঙ্গো বলছেন, ১৫০ রান করতে পারলে যে কোনো দলের জন্য তা তাড়া করা চ্যালেঞ্জের হতে পারে। এখানকার উইকেট অনেকটা দিল্লির মত। বল কিছুটা টার্ন করে। যা আমাদের জন্য অনেকটা খুশির খবর। কেননা, উইকেটের সাহায্য পেলে জ্বলে উঠবে আমাদের বোলাররা।
অপরদিকে, মাঠের বিচারের ভারতের সবচেয়ে বড় মাঠ এটি। তাইতো ছক্কার চেয়ে চারের দিকে মুশফিকদের মনযোগী হওয়ার পরামর্শ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গের।
কোচের কথায় স্পষ্ট উঠে আসছে বেশ ভাল পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামছে টাইগাররা। তবে সেটি কতটা কাজে লাগাতে পারবেন, তা নির্ভর করছে সৌমদের ওপর।
এআই/