ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

আউট না হয়েও মাঠ ছাড়লেন মাহমুদুল্লাহ

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ২০:০৪, ২৩ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২০:৩২, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

ভারতীয় পেসারদের আঘাতের শিকার লিটন-নাঈম-মুশফিকরা

ভারতীয় পেসারদের আঘাতের শিকার লিটন-নাঈম-মুশফিকরা

ইডেনের ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টে ২৪১ রানের লিড নিয়েই ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। সেই লক্ষ্যে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক পেসারদের তোপের মুখে ফের বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশ। মাত্র ১৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান দুই ভায়রা মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ, গড়েন ৬৯ রানের জুটি। 

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ১৩৩ রান। নিজের ২১তম টেস্ট ফিফটি তুলে নিয়ে মুশফিকুর রহিম ৫২ রানে ক্রিজে থাকলেও ইনজুরিতে মাঠ ছেড়েছেন রিয়াদ। আর মুশফিকের সঙ্গী হওয়া মিরাজ আউট হন ১৫ রান করে। ফলে ১৩৩ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  

১৯তম ওভারে দ্রুত একটি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন রিয়াদ। তাই তার স্থানে ব্যাট করতে নামেন মিরাজ। মাঠ ছাড়ার আগে সাট চারে ৩৯ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।

এদিকে, লিটন-নাঈমের পর এদিনও মাথায় আঘাত পান মিঠুন। পরে মুশফিকও শিকার হন শামির বাউন্সারের। যা সরাসরি আঘাত হানে তার হেলমেটে। যেন যেকোনভাবেই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মাঠ ছাড়া করতে চায় ভারতীয়রা। 

অন্যদিকে, আউট হওয়া চার ব্যাটসম্যান হলেন- সাদমান (০), মুমিনুল (০), মোহাম্মদ মিঠুন (৬) ও ইমরুল কায়েস (৫)। এর মধ্যে তিনজনকেই সাজঘরে ফেরান ইশান্ত। 

এদিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুতেই ত্রাস হয়ে দেখা দেন প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া ইশান্ত শর্মা। দীর্ঘদেহী এই পেসারদের তোপে প্রথমে শূন্য রানে সাদমানকে এবং পরে দুই রানে মুমিনুলকে হারায় দল। 

লেগ বিফোর হয়ে ফেরা সাদমান এদিন রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারেননি। তাই শূন্য হাতেই ফিরতে হয় আগের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৯ রান করা এই ওপেনার।  
 
আর প্রথম ইনিংসের মতো এবারো শূন্য রানেই উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক। অধিনায়কত্বের চাপে যেন পিষ্ট হচ্ছেন লিটল মাস্টার খ্যাত টেস্ট স্পেশালিষ্ট মুমিনুল। দুই টেস্টের এক ইনিংসেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। যাতে বারবার বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।    

এর আগে শনিবার ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে মাত্র একটি উইকেট হারালেও দ্বিতীয় সেশনেই টাইগার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে স্বাগতিকরা। প্রায় দুই সেশন খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৩৪৭ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

এদিন আল-আমিন, এবাদত ও আবু জায়েদের পেস তোপের মুখে ৬ উইকেট হারিয়ে আরও ১৭৩ রান যোগ করতে সমর্থ হয় বিরাট কোহলিরা। যাতে ২৪১ রানের এগিয়ে যায় দলটি। 

এদিন শতকের দেখা পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবাদত হোসেনের বলে তাইজুলের দুর্দান্ত ক্যাচ হওয়ার আগে খেলেন ১৩৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তার ১৯৪ বলের এই ইনিংসে ছিল ১৮টি চারের মার। আর কোহলির আগে আবু জায়েদের বলে বোল্ড হওয়া জাদেজা ফেরেন ১২ রান করে। পরে অশ্বিনকে তুলে নেন ভারত ইনিংসের প্রথম উইকেট শিকারি আল আমিন। ফেরার আগে ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এর আগে শনিবার দুপুরে বড় লিডের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এরপর উইকেট শিকারে যোগ দেন আবু জায়েদ, এবাদত ও আল আমিন। যাতে ৩৩১ রানেই নবম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরিম্যান কোহলিকে তুলে নিয়ে এদিন উল্লাসে মাতেন পেসার এবাদত হোসেন। 

রবিচন্দন অশ্বিন ৯ রানে, উমেশ যাদব আর ইশান্ত শর্মা শূন্য রানে আউট হন। তিনটি করে উইকেট নেন আল আমিন ও এবাদত হোসেন। আর আবু জায়েদ নেন দুটি উইকেট। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি