৬ বলে ৫ উইকেট!
প্রকাশিত : ২২:১৫, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন মিঠুন
শ্রীলঙ্কান সুপারস্টার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা পরপর চার বলে চার উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এক ওভারে চার উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান আরেক কিংবদন্তী বোলার চামিন্ডা ভাসও। বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ঘটনা বিরল হলেও এবার ভারতীয় এক বোলার যেন তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেলেন। হ্যাটট্রিকসহ এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছে রীতিমত বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতের অভিমন্যু মিঠুন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভারতের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ইনিংসের শেষ ওভারে এমন অবিশ্বাস্য কাণ্ডই ঘটিয়েছেন কর্নাটকের পেসার অভিমন্যু মিঠুন।
এক ওভারে পরপর তিনটি উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এরপরের বলেই ফের উইকেট! টানা চার বলে চার উইকেট নেয়ার পর এক বল বিরতি দিয়ে পরের বলেই আরেক উইকেট পান মিঠুন।
হরিয়ানার ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম বলে মিঠুনের প্রথম শিকার হিমাংশু রানা। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে রানার বিদায়ের পর দ্বিতীয় বলে রাহুল টেয়াটিয়াও ক্যাচ তুলে দেন। এরপর সুমিত কুমারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন মিঠুন। ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন অমিত মিশ্র। ওভারের পঞ্চম বলে ওয়াইডের পর আসে এক রান।
আর ওভারের শেষ বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন জয়ন্ত যাদব। অর্থাৎ সেই ওভারে একটি ওয়াইডসহ আসে দুই রান আর উইকেট পড়ে ৫টি।
রেকর্ড গড়া ওই শেষ ওভারে মিঠুনের জ্বলে ওঠার আগেই অবশ্য রানের পাহাড় গড়ে হরিয়ানা। ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৯৪ তোলে রাজ্য দলটি। এর জবাবে মিঠুনের দল ৫ ওভার বাকি থাকতেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। আর ম্যাচ সেরা তো ওই রেকর্ড গড়া মিঠুনই।
এর আগেই অবশ্য ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই বড় তারকা পেসারকে তলব করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় অপরাধবিষয়ক সংস্থা (সিসিবি)। কেপিএলে ম্যাচ পাতানোর বিষয়ে এক সময় ভারতীয় দলে খেলা এই পেসারকে জিজ্ঞেসাবাদ করবে সিসিবি।
এ বিষয়ে ভারতীয় পুলিশ কর্তকর্তা সন্দ্বীপ পাতিল বলেন, ‘হ্যাঁ, মিঠুনকে জিজ্ঞেসাবাদ করার জন্য ডাকা হয়েছে। সিসিবিতে এসে বক্তব্য দিয়ে যাবে ও।’
সিসিবি’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত মৌসুমে কেপিএলে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন মিঠুন। সে ম্যাচ আমাদের সন্দেহের তালিকায় আছে। সেসব নিয়েই তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে।’
কিছুদিন আগে কেপিএলের ফিক্সিং নিয়ে বোমা ফাটিয়েছিল ভারতীয় গণমাধ্যম। এই টুর্নামেন্টে কোচরাই নাকি খেলোয়াড়দের সরাসরি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন এবং অনুপ্রাণিত করেন।
এনএস/