ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

মেহেদী তাণ্ডবের পরও ঢাকার কষ্টসাধ্য জয় 

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১৭:৩২, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৩৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ছেন আফ্রিদি

জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ছেন আফ্রিদি

দারুণ বোলিংয়ের পর মেহেদী হাসানের ব্যাটিং তাণ্ডবে সহজ জয়ের পথেই ছিল ঢাকা প্লাটুন। কিন্তু মুজিবুর রহমানের জোড়া আঘাতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে অনেকটা শঙ্কায় পড়ে যায় দলটি। তবে আফ্রিদি ও মোমিনুলের দৃঢ়তায় শেষপর্যন্ত কষ্টসাধ্য জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মাশরাফি বাহিনী।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরের এ ম্যাচে রাজাপাকসের অনবদ্য এক ইনিংসে চড়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে মেহেদীর ঝড়ো ফিফটি স্বত্বেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে ঢাকা। পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে উঠে আসে টেবিলের তিন নম্বরে। 

ঢাকার এই কষ্টসাধ্য জয়ের ম্যাচে শহীদ আফ্রিদি ১৬ বলে ২৬ রান করে এবং মোমিনুল হক ২৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে তিনি নেমে ব্যাটে ঝড় তোলেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। তামিম ইকবালের সঙ্গে গড়েন ৪৭ বলে ৮৪ রানের ঝোড়ো জুটি। এরপরই ফেরেন তিনি।

আউট হওয়ার আগে মেহেদী হাসান করেন ক্যারিয়ার সেরা ৫৯ রানের ইনিংস। এর আগেই অবশ্য মাত্র ২৩ বলে প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। দলীয় ১ রানেই এনামুল হক বিজয় (০) ফিরলে ক্রিজে আসেন এই তরুণ। খেলেন তাণ্ডব ছড়ানো এক ইনিংস। তার ২৯ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি ছক্কার সাথে দুটি চারের মার। 

কিন্তু এরপরই যেন মড়ক লাগে ঢাকার ইনিংসে। কুমিল্লার স্পিনার মুজিবুর রহমানের পরপর দুই বলে আউট হয়ে ফেরেন আসিফ আলী (০) ও জাকের আলী (০)। ফলে ৮১/১ থেকে চোখের পলকে ৮৮/৪ হয়ে যায় দলটির স্কোর। যা অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে চেয়ে চেয়েই দেখলেন তামিম। অবশ্য কিছুক্ষণ বাদে তিনিও হাঁটেন একইপথে। আউট হওয়ার আগে করেন ৪০ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৩৪ রান। 
  
এর আগে কু্মিল্লার পক্ষে ব্যাটে ঝড় তোলেন ভানুকা রাজাপাকসে। ইনিংসের ১৯তম ওভার শেষে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ভানুকা। মনে হচ্ছিল, বঙ্গবন্ধু বিপিএলের হয়তো দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা দেখা যাচ্ছে আজ। 

কিন্তু ইনিংস শেষেও ৯৬ রানে অপরাজিত থাকলেন লঙ্কান ক্রিকেটার! শেষ ওভারে দুই বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাট থেকে একটি রানও তুলতে পারেননি। রাজাপাকসের সেঞ্চুরি মিসের দিনে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ১৬০ রানের স্কোর গড়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্স।

কুমিল্লার পুরো ইনিংসটাই রাজাপাকসে কেন্দ্রিক। শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ফর্মে থাকা ওপেনার সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বসে কুমিল্লা। সাব্বির রহমান (০), ডেভিড মালানও (৯) বেশিদুর এগুতে পারেননি। তবে রাজাপাকসে অবিচলই ছিলেন। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন ইয়াছির আলি।

চতুর্থ উইকেটে দুজন তুলেছেন ১০৩ রান। এর মধ্যে রাজাপাকসের একারই ৬৮। ইয়াছির ২৭ বল খেলে ২টি চারে শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।


 
রাজাপাকসের দিনে ঢাকার সফল বোলার মেহেদি হাসান। ৪ ওভার বোলিং করে ৯ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন তরুণ মেহেদি। ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠে হন ম্যাচ সেরা। এছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি