ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার অসহায় আত্মসমর্পণ, চট্টগ্রামের সহজ জয় 

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১৭:৪২, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:০৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

ইমরুল কায়েসের ফিফটি ও জয় উদযাপন

ইমরুল কায়েসের ফিফটি ও জয় উদযাপন

চট্টগ্রাম পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু বিপিএল আবারও ফিরেছে রাজধানী ঢাকায়। নিজ আঙ্গিনায় ফিরেই যেন বিপদে পড়ল ঢাকা প্লাটুন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে করল অসহায় আত্মসমর্পণ। ইমরুলের ফিফটিতে ৬ উইকেটের সহজ জয়ে প্লে-অফের কাছাকাছি চলে গেল চট্টগ্রাম। 

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ১২৪ রান তুলতে পেরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। জবাবে ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিল কায়েসের দল।

জবাব দিতে নেমে ২৫ রানেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর ৬৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় চ্যালেঞ্জার্সরা। তবে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দায়িত্বশীল ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে তরী ভেড়াতে কোনও অসুবিধাই হয়নি চট্টগ্রামের। ৫৩ বলে দুই ছক্কা আর পাঁচটি চারে ৫৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ইমরুল হন ম্যাচ সেরা। আর এই জয়ের ফলে আট ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের আরও কাছাকাছি চলে গেল বন্দর নগরীর দলটি।

অল্প পুঁজি নিয়েও চট্টগ্রামকে চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছিলেন ঢাকার বোলাররা। মাশরাফি বিন মর্তুজার চৌকস নেতৃত্বে বেশ বিপদেই পড়ে যায় চট্টগ্রাম। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল ঢাকা। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ একটা হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে চট্টগ্রামকে জিতিয়েছেন ইমরুল।

তিনে নেমে ৫৩ বলে ৫ চার ২ ছয়ে ৫৪ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১৮.৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১২৫ রান তুলে ফেলে কুমিল্লা। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ করেন চ্যাডউইক ওয়ালটন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারানো ঢাকা একটা সময় ৬৮ রানে হারিয়ে বসে সপ্তম উইকেট। মেহেদি হাসান রানা, মুক্তার আলি, রায়ান বার্লদের দারুণ বোলিংয়ে বেশ বিপদেই পড়ে যায় ঢাকা। যা থেকে আর দলকে উদ্ধার করতে পারেনি কেউই।

এ অবস্থায় মোমিনুল হক সৌরভ একপ্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেও আউট হন ৩৪ বলে ৩২ রান করে। যা ঢাকার ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তারপরও একশ পেরোতেই যেন কষ্ট হচ্ছিল ঢাকার। যে বিপদ থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার করেন ওয়াহাব রিয়াজ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। শেষ দিকে এই দুই পেসার মিলে দারুণ একটা জুটি না গড়লে ওই রানও পেতো না ঢাকা।  

পাকিস্তানি রিক্রুট ওয়াহাব ১৫ বল খেলে ২ ছয়ে ২৩ রান করেন। আর মাশরাফি অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে তিন ছয়ে ১৭ রান করে। যাতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে ঢাকা।

এদিন চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মুক্তার আলি ও রায়ান বার্ল। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ ও লিয়াম প্লাঙ্কেট। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি