ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ফাইনালে যেতে মরিয়া রাজশাহী-খুলনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪০, ১২ জানুয়ারি ২০২০

আফিফ হোসাইন ও নাজমুল হোসাইন

আফিফ হোসাইন ও নাজমুল হোসাইন

ডাবল লিগ পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কাল সোমবার মুখোমুখি হচ্ছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। ফাইনালে চোখ রেখেই মাঠে নামছে দু'দল। কারণ প্রথম কোয়ালিফাইয়ার বিজয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। 

অন্যদিকে, হেরে যাওয়া দল চলে যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে। সেখানে তারা খেলবে এলিমিনেটরের (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন) জয়ী দলের সাথে। তাই আগেভাগেই ফাইনাল নিশ্চিত করতে মুখিয়ে আছে খুলনা ও রাজশাহী। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা-রাজশাহীর ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে।

লিগ পর্বের ১২ ম্যাচ শেষে ১৬ করে পয়েন্ট খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকার কারণে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দু’টি স্থান নিশ্চিত হয় খুলনা-রাজশাহীর। যে কারণে প্রথম কোয়ালিফাইয়ার খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা।

প্রথম কোয়ালিফাইয়ার জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত হবে, এমনই সমীকরণ খুলনা-রাজশাহীর সামনে। যদিও হেরে গেলেও থাকছে ফাইনালে খেলার সুযোগ। তবুও ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগটি কাজে লাগাতে মরিয়া খুলনা-রাজশাহী। তাই এ ম্যাচটিকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না কোনও দলই। এমনটা মনে করেন রাজশাহীর অলরাউন্ডার অলক কাপালি। 

২০১৭ সালের আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শিরোপা জয়ে ফাইনালে বড় ভূমিকা রাখা কাপালি বলেন, ‘আমি এর আগেও কোয়ালিফাইয়ার খেলছি, তাই আমার কাছে মনে হয় যে, প্রথম লড়াইয়েই যদি জয় পাওয়া যাওয়া যায় তবে সেটাই অনেক ভালো। জিতে গেলে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। একই সাথে মোমেন্টাম থাকবে। এটা ঠিক যে, আমাদের আরও একটি সুযোগ থাকবে। তারপরও প্রথম লড়াইয়ে জিতে যাওয়া ভালো।’

দলের মধ্যে স্পিরিট থাকাটা অনেক বেশি জরুরি বলে জানান এক সময় বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা কাপালি, ‘অবশ্যই একটি দলের স্পিরিটটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক ম্যাচের পর আমরা এজন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। তাই মোমেন্টামটা খুব বেশি দরকার। 

এই অলরাউন্ডার বলেন, আপনি যদি সিলেটের কথা চিন্তা করেন, তারা একটি ম্যাচ জিতেছে এবং পরবর্তীতে তারা আর কোনও ম্যাচই জিততে পারেনি। কারণ তারা মোমেন্টাম হারিয়েছে। টুর্ণামেন্টের মাঝপথে দু’টি ম্যাচ হারের পর আমরাও চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর টিম মিটিং-এ আমরা সবাই এক সাথে বসে পরিকল্পনা করেছি, কিভাবে ফিরে আসা যায় এবং মোমেন্টাম পাওয়া যায়। তাই আমরা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করতে পারলাম।’

এদিকে, লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের ৪ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে খুলনা। বিপিএলের ইতিহাসে রান চেজ করে রেকর্ডও গড়ে খুলনা। এ প্রসঙ্গে কাপালি বলেন, প্রতিপক্ষ খুলনার টপ-অর্ডার অনেক বেশি শক্তিশালী এবং তাদের জন্য আলাদা পরিকল্পনা কষেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

খুলনার মিডল-অর্ডারে সেরা দুই ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বর্তমানে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষ দু’টি স্থানেই রয়েছেন তারা। ওপেনার হিসেবে দুর্দান্ত ব্যাট করে দলের জয়ের পেছনে অবদান রাখছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। 

শনিবার রাতে তো ঢাকার বিপক্ষে ৫৭ বলে অপরাজিত ১১৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন শান্ত। তার ব্যাটিং-এ প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে খুলনা। ম্যাচটি হারলে এলিমিনেটরে খেলতে হতো খুলনাকে।

শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিং নিয়ে কাপালি বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি শান্ত। কিন্তু গত ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছে সে। তাদের মুশফিকের মত দুর্দান্ত খেলোয়াড় রয়েছে। এটা একটা ভালো দিক যে, ধারাবাহিকতভাবে রান করে আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের অনেকেই এবার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে। তাই খুলনার টপ-অর্ডার নিয়ে আমাদের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। আসলে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় বা ছোট দল বলতে কিছু নেই। নিজের দিনে যে কোনও দলকে হারানো সম্ভব।’

খুলনার মত দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইন রাজশাহীরও আছে বলে জানান কাপালি, ‘আমি মনে করি, টপ-অর্ডার ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিবে। তাদের টপ-অর্ডাররা খুবই ভালো, আমাদের উপরের সারির ব্যাটসম্যানরাও ভালো করেছে। আমাদের যা করতে হবে তা হলো, মাঠে পরিকল্পনাগুলো কার্যকর করা।’-বাসস। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি