ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

আইপিএল শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর, ফাইনাল ১০ নভেম্বর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৮, ৩ আগস্ট ২০২০

করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। আইপিএলের ত্রয়োদশ আসরটির শুরু ও ফাইনালের আনুষ্ঠানিক দিন তারিখও ঘোষণা করেছে গভর্নিং কাউন্সিল। এছাড়া খেলোয়াড়দের নিয়েও অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। 

রোববার ভিডিও কনফারেন্সে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দীর্ঘ বৈঠক শেষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে আইপিএল-২০২০ এর বল মাঠে গড়াবে। সেখানে ক্রিকেটাররা পরিবার নিয়েও যেতে পারবেন।

বৈঠকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী এবং আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেলও ছিলেন। বৈঠকে ঠিক করা হয়, মরুদেশে আইপিএল শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল হবে ১০ নভেম্বর। প্রথমে কথা ছিল, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ফাইনাল করে ফেলা হবে। যেহেতু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিরাট কোহালিদের অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। যদি সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় তাদের, তাই আগে আগে শেষ করতে হবে আইপিএল।

প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে আসরের সব ম্যাচ হবে দুবাই, শারজা এবং আবু ধাবিতে। তবে প্রয়োজনে তা পরিবর্তন হতে পারে। টুর্নামেন্টের ১০টি ম্যাচ হবে দিনে। বাকি সব ম্যাচ হবে রাতে। প্রতিটি ম্যাচের সম্প্রচার ৩০ মিনিট করে এগিয়ে আনা হয়েছে। দিনের ম্যাচগুলো বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে। রাতের ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে।

এ বছর আটটি দল লড়াই করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনী টুর্নামেন্টের শিরোপার জন্য। প্রত্যেক দলে ২৪ জনের বেশি ক্রিকেটার রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না। ৫৩ দিনের দীর্ঘ প্রতিযেগিতা বলেই স্ত্রী-পরিবারকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেবে বোর্ড। তবে পরিবার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের উপরই দেওয়া হবে। দলই ঠিক করবে কোন কোন ক্রিকেটার স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যেতে পারবে।

টিম হোটেলে কড়া নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। হোটেল থেকে বেরিয়ে অন্য কোথাও লাঞ্চ বা ডিনারে যাওয়া যাবে না। হোটেলের মধ্যেই তা সারতে হবে। যদি ক্রিকেটারদের পরিবার টিম হোটেলে থাকে, তাদেরও এই নিয়মকানুন মানতে হবে।

প্রতিযোগিতা চলাকালীন কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবর্তন আনা যাবে। এ ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধ রাখছে না বোর্ড। যত খুশি পরিবর্ত আনা যেতে পারে। তবে কেউ নিয়মভঙ্গ করলে তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। বোর্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, যত বড় তারকাই হোক না কেন, জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম শিথিল করা যাবে না। 

গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবারের টুর্নামেন্টে পুরোনো সব স্পনসরই থাকছে। অর্থাৎ চীনা মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভিভোই এবছর আইপিএলের স্পন্সর হিসেবে থাকবে। 

জানা গেছে, আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে চার্টার্ড বিমানে দুবাই যেতে পারে সব দল। 

ভারতে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে দেশে আইপিএলের আয়োজন কার্যত অসম্ভব। তাই ভারতের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবারের আইপিএল সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি