আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের পথ চলার ১৪ বছর
প্রকাশিত : ১৬:৩৫, ৬ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ০৭:৪৯, ৭ আগস্ট ২০২০
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অভিষেকের দিন আজ। ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রঙিন পোশাকে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। সেই যে যাত্রা শুরু হলো, এরপর গড়িয়ে গেছে ১৪টি বছর। এই ১৪ বছরে নিজেকে বিশ্বসেরাদের কাতারে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন শত অর্জন, শত গৌরব। বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকাকে উঁচিয়ে ধরেছেন সগৌরবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন মর্যাদার আসনে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ওয়ানডে অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থান দখল করেন। এখানেই থেমে থাকেননি, ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই শীর্ষ জায়গাটা নিজের করে নিয়েছিলেন। যা করতে পারেননি বিশ্বের অন্য কোন ক্রিকেটার।
এই ১৪ বছরে নিজেকে বানিয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অপরিহার্য এক অংশ। যার প্রমাণ তিনি দিয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের প্রতিটি মুহূর্তে। সর্বশেষ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সাকিবের পারফরমেন্স ছিল ঈর্ষনীয়। ব্যাট হাতে একাই লড়ে গেছেন টাইগারদের পক্ষে। করেছেন আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬০৬ রান। বল হাতেও কোনো অংশে পিছিয়ে নন সাকিব। ঘুর্নিজাদুতে এক ম্যাচে ৫ উইকেটসহ মোট ১১ উইকেট নেন তিনি।
টাইগার দলের অধিনায়ক হিসেবেও সাকিব রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। দেশের হয়ে ১৩ টেস্টের অধিনায়কত্ব করে জয় পেয়েছেন ৩টিতে। ৫০টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন ২৩টি ম্যাচে। এছাড়া ১৭টি টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে ৪ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছেন সাকিব।
সাকিব আল-হাসান এ পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে খেলেছেন ৩৩৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। একবারও বাদ পড়তে হয়নি অফফর্মের কারণে।
টেস্ট ক্রিকেটে খেলেছেন ৫৬টি ম্যাচ। এতে ৫ সেঞ্চুরি ও ২৪ হাফ সেঞ্চুরি মিলিয়ে সাকিবের রান ৩৮৬২। আর ব্যাটিং গড় ৩৯.৪১। বল হাতে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ১৮ বার ও ১০ উইকেট নিয়েছেন দুইবার। দেশের একমাত্র বোলার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেট পাওয়া সাকিবের বর্তমান শিকারের সংখ্যা ২১০টি।
ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০৬ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৬৩২৩ রান। এর মধ্যে ৯ সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৪৭টি। একদিনের ক্রিকেটে বল হাতেও সফল এই বাঁহাতি। তার মোট শিকার ২৬০ উইকেট। ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুইবার।
এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে সাকিব ৭৬ ম্যাচ খেলে ১৫৬৭ রানের পাশাপাশি উইকেট দখল করেছেন ৯২টি।
এএইচ/এমবি