আরো ‘দ্রুততা ও ক্ষিপ্রতা’ নিয়ে আসছেন তাসকিন
প্রকাশিত : ২০:৪৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
তাসকিন আহমেদ
আবারো ধারাবাহিক হতে চান পেসার তাসকিন আহমেদ। এ জন্য সর্বোচ্চ গতি ও বিপজ্জনক বোলার হতে কঠোর পরিশ্রম করছেন দেশের অন্যতম সেরা এ পেস বোলার। দীর্ঘদেহী তাসকিনের ভান্ডারে সব সময়ই পেস ছিল। কিন্তু ছয় বছরের ক্যারিয়ারে অভাব ছিলো শুধু ধারাবাহিকতার।
ক্রিকেট বিশ্ব ইতোমধ্যে দেখেছে যে, যখন ধারাবাহিক থাকেন তখন ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা ভয়ংকর হতে পারেন তাসকিন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাসকিনের সেই ধারাবাহিকতা খুব কম সময়েই ছিলো। যার কারণে অধিনায়কের সমর্থন লাভে সহায়ক হয়নি। আর সেটা বুঝতে পারা তাসকিন জানান, ফিটনেসের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। কারণ ফিট বোলাররাই নিজের পছন্দের জায়গায় বল করতে পারে।
আজ (২২ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে স্কিল সেশন শেষে তাসকিন বলেন, ‘অতীতের চেয়ে আমার ফিটনেসের উন্নতি লক্ষণীয়, কিন্তু উন্নতির কোন শেষ নেই।’
দীর্ঘদেহী এই পেসার আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি যদি নিজেকে বিশ্বমানের কাতারে নিতে চাই, আমাকে আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে, তাই আমি জানি আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো কিছু ঘটবে এবং আমি ফিটনেস ও স্কিলের উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। যাতে আমি আরও বেশি ধারাবাহিক হতে পারি।’
ক্যারিয়ারের শুরুটা দুর্দান্তই ছিলো তাসকিনের। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ভারত মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়। পরে অবশ্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৫৮ রানে গুটিয়ে বৃষ্টি আইনে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
তবে এমন দুর্দান্ত শুরুর পরও ইনজুরির কারণে ক্যারিয়ারে বার বার হোচট খেয়েছেন তাসকিন। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ২০১৭ সালে টেস্ট দলে ডাক পান তিনি। হায়দারাবাদের ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দ্রুত গতির ডেলিভারির কিছু স্পেল করেছিলেন তাসকিন। যা বিশ্বমানের বোলার হিসেবে অভিহিত হয়েছিলো, কারণ গতি দিয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বেকাদায় ফেলেছিলেন তিনি।
ঐ সিরিজের পর, ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিলো যে, যে কোন ফরম্যাটে অধিনায়কের পছন্দের বোলার হতে পারেন তাসকিন, কিন্তু এমনটা হয়নি। আরও একটি ইনজুরি তাকে দল থেকে ছিটকে দেয় এবং পরবর্তীতে ছন্দ ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।
গত বিপিএলে কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাবার জন্য ফর্ম পুনরুদ্ধার করেন তাসকিন। কিন্তু আরও একটি ইনজুরি তাকে ছিটকে দেয় দল থেকে।
ছন্দ ও গতির মাধ্যমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে আবারো দলে সুযোগের প্লাটফর্ম পেয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে দেশে ক্রিকেটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে হতাশায় পড়েন তিনি।
তাসকিন জানান, লকডাউন চলাকালীন ভার্চুয়ালি কোচদের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরুর পর পুনঃরায় ছন্দ ফিরে পেতে তাকে অনেক সহায়তা করে।
তাসকিন বলেন, ‘অতীতের চেয়ে এখন ভালো ছন্দে আছি এবং আমি এখন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আমি আমার গতি ও সিমের অবস্থান নিয়ে কোচদের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করছি। সুস্থ ও ফিট থাকলে ছন্দ ফিরে পাব আশা করছি। ছন্দের পাশাপাশি, আরো নিখুঁত লাইন এবং সিমের অবস্থান ও গতিও ভালো হবে আশা করছি।’ সূত্র- বাসস।
এনএস/