ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রোহিতদের দ্বিতীয় জয়, টানা হার পাঞ্জাবের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৩, ২ অক্টোবর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

জেতার জন্য কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের দরকার ছিল ১৯২ রান। কিন্তু, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ভোগাল তাদের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জিতে যায় ৪৮ রানে। এ জয়ের ফলে দ্বিতীয় জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল রোহিত শর্মার দল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনই স্বস্তির দেখা মেলেনি পাঞ্জাবে। ওপেনিং জুটিতে ৩৮ ওঠার পর নিয়মিত উইকেট খোয়াতে থাকে। ময়াঙ্ক আগরওয়াল (২৫), করুণ নায়ার (শূন্য), অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (১৭), নিকোলাস পুরান (৪৪), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১), জেমস নিশাম (৭), সরফরাজ খানরা (৭) কেউ ভরসা দিতে পারেননি।

কৃষ্ণাপ্পা গৌতম (২২) শেষ দিকে কিছুটা ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন। মুম্বাইয়ের হয়ে নজর কাড়েন জশপ্রীত বুমরা, রাহুল চাহার ও জেমস প্যাটিনসন। তিনজনই দুটি করে উইকেট নেন। 

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বাঁ-হাতি পেসার শেলডন কটরেলের দুরন্ত সুইংয়ে বোল্ড হন কুইন্টন ডি’কক। বোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই পড়ল প্রথম উইকেট। 

দ্বিতীয় ওভারে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবশ্য বেঁচে যান ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের সুবাদে। মোহাম্মদ শামির বলে তাকে এলবিডব্লিউ দেওয়া হয়েছিল। রিভিউতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। চতুর্থ ওভারে অবশ্য ফের আঘাত হানে পঞ্জাব। দুরন্ত ছন্দে থাকা সূর্যকুমার যাদব (১০) রান আউট হন সেই মোহাম্মদ শামির সরাসরি থ্রোতে। ২১ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। সেখান থেকে মুম্বাইকে টানছিলেন রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষাণ। দু’জনে ৬২ রান যোগ করেন তৃতীয় উইকেটে। ৩২ বলে ২৮ করে ঈশান যখন ফেরেন তখন ১৩ দশমিক ১ ওভারে মুম্বাইয়ের রান ৮৩।

রোহিতের পঞ্চাশ আসে ৪০ বলে। চার মেরে অর্ধ শতরানে পৌঁছেন হিটম্যান। তারপরই ঝড় তুলেন তিনি। তবে তাণ্ডব ছড়ানোর আগেই রোহিতের সেই ঝড় থামিয়ে দেন মোহাম্মদ শামিই। ৪৫ বলে ৮টি চার ও তিনটি ছক্কা মেরে ৭০ রানে ফেরেন রোহিত, দলের রান তখন ১৬ দশমিক ১ ওভারে ১২৪/৪। ক্রিজে এসে পোলার্ডের সঙ্গে যোগ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। এসেই ঝড় তুলেন তরুণ এই হার্ডহিটার। সঙ্গে যোগ দেন পোলার্ডও। মাত্র ২৩ বলে দুজনে মিলে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে তুলে ফেলেন ৬৭ রান। 

যাতে মুম্বাইয়ের স্কোর পৌঁছে যায় সেই চার উইকেটেই ১৯১-এ। শেষের ওভারে পোলার্ড তো বিশাল বিশাল চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে পেলেন স্কাইরন পোলার্ডের খেতাবও। অপরাজিত ছিলেন মাত্র ২০ বলে ৪৭ করে। সঙ্গী পান্ডিয়া খেলেন ১১ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস। যাতে পাঞ্জাবের লক্ষ্য গিয়ে ঠেকে ১৯২ তে।

খেলা শুরুর সময় পয়েন্ট তালিকায় দুই দলের মধ্যে কোনও ফারাক ছিল না। নেট রান-রেটে লোকেশ রাহুলের কিংস ইলেভেন ছিল ছয়ে। পিছিয়ে সাতে ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেখান থেকেই জিতে এক নম্বরে উঠে গেল তারা। এই ম্যাচের আগে তিন ম্যাচে দুই দলই জিতেছিল একবার, পয়েন্ট দাঁড়িয়ে ছিল দুইয়ে। দুই দলই হেরেছিল দুটো করে ম্যাচ। আরও মিল ছিল। মুম্বাই ও পাঞ্জাব দুই দলেরই শক্তি ব্যাটিংয়ে। কিন্তু ডেথ ওভার বোলিংয়ে দুর্বলতা ছিল উভয় দলেরই। 

হার্দিক পান্ড্য়র বল করতে না পারা যেমন ভোগাচ্ছিল মুম্বাইকে। পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারের উপর পড়ে যাচ্ছিল চাপ। তবে মুম্বাই দলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। পাঞ্জাব দলে একটিই পরিবর্তন হয়েছিল। কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এসেছিলেন মুরুগান অশ্বিনের পরিবর্তে।
এআই/এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি