ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হৃদয়-শুক্কুরের ফিফটিতে মাহমুদুল্লাহর হার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৫, ১১ অক্টোবর ২০২০

ষষ্ঠ উইকেটে তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুরের ১০৫ রানের জুটির কল্যাণে জয় দিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ তিন দলীয় টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করলো নাজমুল একাদশ। আজ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশকে ৪ উইকেটে হারায় শান্তর দল।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ৪৭ দশমিক ৩ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। জবাবে ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলো নাজমুল একাদশ। এরপর ১০৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের তৈরি করে ফেলেন হৃদয়-শুক্কুর।

এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন নাজমুল একাদশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহ একাদশের পক্ষে ইনিংস শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখ। কিন্তু তিন ওভার ব্যাট করার পরই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। এ সময় কোন উইকেট না হারিয়ে ১৭ রান তোলে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। 

৪২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে খেলা শুরু হলে, বিপদেই পড়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। পরের ১৩ বলে মাত্র ৪ রান তুলতেই উপরের সারির তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। লিটন ১১ রান করে নাজমুল একাদশের পেসার তাসকিন আহমেদের ও মোমিনুল হক খালি হাতে আল-আমিন হোসেনের শিকার হন। ৯ রান করে রান আউট হন নাইম শেখ।

২১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ইমরুলকে ব্যক্তিগত ৪০ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন নাইম হাসান।

ইমরুলের বিদায়ে পরের দিকে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান ও সাব্বির রহমান। এর মাঝেই বিদায় নেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও। ফলে ১৬০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় দলটি। সোহানকে ১৪ রানে থামান অধিনায়ক শান্ত। আর মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরকে বিদায় দেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

তবে তার আগে ৮২ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫১ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। আর সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের পর দুই টেল-এন্ডার আবু হায়দার রনি ও রাকিবুল হাসানের ছোট্ট দু’টি ইনিংসের সুবাদে ২শ'র কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ১৫ বল বাকী থাকতে ১৯৬ রানে অলআউট হয় তারা। রনি অপরাজিত ১৪ ও রাকিবুল ১৫ রান করেন।

নাজমুল একাদশের তাসকিন ৩৭ রানে-আল আমিন ৪০ রানে ও মুগ্ধ ৪৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া নাইম-সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৯৭ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি নাজমুল একাদশের। ৭৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সাইফ হাসান ১৭, সৌম্য সরকার ২১, শান্ত ২৮, মুশফিকুর রহিম ১ ও আফিফ হোসেন ৪ রান করে ফিরে যান। এর মধ্যে পেসার এবাদত হোসেনের শিকার ছিলো তিনজন।

উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে চাপে থাকা নাজমুল একাদশকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। মাহমুদুল্লাহ একাদশের বোলারদের দেখেশুনে খেলে রানের চাকা ঘুড়াতে থাকেন হৃদয়-শুক্কুর। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

২টি করে চার-ছক্কায় ৬৭ বলে ৫২ রান করে ফিরেন হৃদয়। তবে ৭৮ বলে ৬টি চারে ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন শুক্কুর। ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন নাইম হাসান। ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম। মাহমুদুল্লাহ একাদশের এবাদত ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন।

উল্লেখ্য, মহামারী করোনার কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ ছিলো দেশের ক্রিকেট। ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে এটি বিসিবির ধারাবাহিক উদ্যোগের একটি বড় অংশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মাহমুদুল্লাহ একাদশ: 
১৯৬/১০, ৪৭.৩ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৫১, ইমরুল ৪০, সাব্বির ২২; তাসকিন ২/৩৭, আল আমিন ২/৪০, মুগ্ধ ২/৪৪)।

নাজমুল একাদশ: 
১৯৭/৬, ৪১.১ ওভার (শুক্কুর ৫৬*, হৃদয় ৫২, শান্ত ২৮; এবাদত ৩/৪৬)।

ফল: নাজমুল একাদশ ৪ উইকেটে জয়ী।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি