ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তিন আলীর নৈপুণ্যে ঢাকার দ্বিতীয় জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২২:১৫, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

ইয়াসির আলী রাব্বি ও আকবর আলী

ইয়াসির আলী রাব্বি ও আকবর আলী

Ekushey Television Ltd.

ইয়াসির আলী, আকবর আলীর ব্যাটিং ও মুক্তার আলীর বোলিং নৈপুন্যে চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে টানা দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেল বেক্সিমকো ঢাকা। আজ শুক্রবার টুর্নামেন্টের ১২তম ও দিনের শেষ ম্যাচে মিনিস্টার রাজশাহীকে ২৫ রানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল।

প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করে বেক্সিমকো ঢাকা। জবাবে ৫ বল বাকী রেখে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। এ নিয়ে প্রথম দু’ম্যাচ জয়ের পর হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেলো রাজশাহী। এই জয়ে ৫ খেলায় ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকলো ঢাকা। একই চিত্র রাজশাহীরও। তবে রান রেটে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে মিনিস্টার রাজশাহী। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ঢাকার দুই ওপেনার নাইম হাসান ও মোহাম্মদ নাইম। নাইম হাসান ১ ও মোহাম্মদ নাইম ৯ রান করে ফিরেন। দুই ওপেনারের পর ব্যর্থ হয়েছেন চার নম্বরে নামা তানজিদ হাসানও তামিমও। জুনিয়র তামিম ২ রানে আউট হলে ৪৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় ঢাকা।

তবে তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সফল হতে না পারলেও দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ রানে ফেরেন মুশফিক।

দলীয় ৬৪ রানে মুশফিক বিদায় নিলে জুটি বাঁধেন দুই আলী- ইয়াসির ও আকবর। তখন ইনিংসের ৫৯ বল বাকী ছিলো। রাজশাহীর বোলারদের তুলোধুনো করে ইয়াসির-আকবর জুটি ৫৪ বল খেলে যোগ করেন ঠিক ১০০ রান। ইয়াসির ৩৯ বলে ৬৭ ও আকবর ২৩ বলে অপরাজিত ৪৫ রান করেন।

৯টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের মারমুখী ইনিংসটি সাজান ইয়াসির। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেছেন আকবর আলী। দলকে ১৭৫ রানের সংগ্রহ এনে দিতে মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক। ৩টি চার ও ২টি ছক্কা হাকান তিন। রাজশাহীর পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম।

জবাব দিতে নেমে ১৫ রানের মধ্যে টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় রাজশাহী। এসময়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫, আনিসুল ইসলাম ইমন ৬ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১ রান করে আউট হন।

সতীর্থদের ব্যর্থতার পর দলকে লড়াইয়ে ফেরান রনি তালুকদার ও ফজলে মাহমুদ। ঢাকার বোলারদের বিপক্ষে মারমুখী হয়ে উঠেন তারা। তবে তা যথেষ্ট ছিলো না। ধীরে ধীরে আস্কিং রেটও বেড়ে যায় রাজশাহীর।

১২তম ওভারে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে ঢাকাকে ব্রেক-থ্রূ এনে দেন মুক্তার আলী। ২৪ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪০ রান করা রনিকে বোল্ড করেন মুক্তার। ব্যাটিংএ প্রমোশন পেয়ে তা এবার আর কাজে লাগাতে পারেনি হার্ড-হিটার মেহেদি হাসান। মাত্র ১ রান করে মুক্তারের দ্বিতীয় শিকার হন মেহেদি।

মেহেদির পর হাফ-সেঞ্চুরি করা ফজলে মাহমুদের আউট ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় রাজশাহীকে। এবারও ঢাকাকে উইকেট শিকারের আনন্দে ভাসান মুক্তার। ৪০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৮ রান করেন ফজলে।

দলকে জয় এনে দেয়ার মতো দায়িত্ব পালন করতে পারেনি রাজশাহীর নিচের দিকের কোনও ব্যাটসম্যান। নুরুল হাসানের ১১ ও ফরহাদ রেজার ২টি ছক্কায় ৪ বলে ১৪ রান রাজশাহীর হারের ব্যবধানই কমিয়েছে মাত্র। ঢাকার পক্ষে ৪ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নেন মুক্তার। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বিই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বেক্সিমকো ঢাকা: ১৭৫/৫, ২০ ওভার (ইয়াসির ৬৭, আকবর ৪৫*, মুকিদুল ২/৩৮)।
মিনিস্টার রাজশাহী: ১৫০/১০, ১৯.১ ওভার (ফজলে ৫৮, রনি ৪০, মুক্তার ৪/৩৭)।
ফল: বেক্সিমকো ঢাকা ২৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ইয়াসির আলি (বেক্সিমকো ঢাকা)।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি