ইতালিতে ম্যারাডোনার নামে স্টেডিয়াম
প্রকাশিত : ১১:২৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
গত ২৫ নভেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পুরো বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। এখনও তাকে স্মরণ করে চলেছেন বিশ্বের নামীদামী ফুটবল ক্লাব ও ফুটবলাররা। এরই ধারাবাহিকতায় ইতালির বিখ্যাত নাপোলি তাদের হোমগ্রাউন্ডের নাম পরিবর্তন করে ম্যারাডোনার নামে করেছে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) নাপোলির স্তাদিও সান পাওলো স্টেডিয়াম নাম বদলে আত্মপ্রকাশ করল স্তাদিও দিয়েগো দিয়াগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা নামে। নতুন নামকরণের পর আগামী ১০ ডিসেম্বর কৌলিবালি, ড্রায়েস মার্টেন্সরা স্তাদিও এই স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম হোম ম্যাচটি খেলবেন।
ন্যাপেলস সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপরিসীম প্রতিভা এবং ফুটবল জাদু দিয়ে প্রয়াত দিয়াগো ম্যারাডোনা নাপোলি ক্লাবের জার্সিকে একদা সমৃদ্ধ করেছিলেন। দুটি ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব ছাড়াও অন্যান্য ট্রফি দিয়ে গোটা শহরের ভালোবাসা উনি আদায় করে নিয়েছিলেন। আর্জেন্টাইন চ্যাম্পিয়নের এইসব খেতাব জয় শুধু নাপোলি ক্লাবের জন্য ছিল না বরং গোটা শহরটার জন্য ছিল। এই শহর পরিচিতি পেয়েছে তাঁর জন্যই।’
বিবৃতিতে ক্লাবটি আরও জানিয়েছে, ‘দিয়াগো ম্যারাডোনার নামে স্তাদিও সান পাওলো নামকরণের যে সিদ্ধান্ত ন্যাপেলস সিটি কাউন্সিল গ্রহণ করেছে তাতে তারা যারপরনাই উচ্ছ্বসিত।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ বার্সেলোনা ছেড়ে ন্যাপেলসে আগমণ ঘটেছিল বছর তেইশের ম্যারাডোনার। নাপোলি তখন ছন্দহীন, দেশের প্রিমিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগে টিকে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। দিয়েগো আসতেই যেন কোনও এক জাদুকাঠির ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল সবকিছু।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পরের বছরেই ম্যারাডোনা ইতালি সেরা করেছিলেন নাপোলিকে। ১৯৯০ আবার সেরা নাপোলি। ম্যারাডোনার হাত ধরে ১৯৮৮-৮৯ উয়েফা কাপ ঘরে এসেছিল ইতালির ক্লাবটির।
দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঠিক পরেই নাপোলি স্টেডিয়ামের নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ন্যাপেলস শহরের মানুষ একবাক্যে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর ন্যাপেলসের মেয়র লুইগি দি ম্যাজিস্ট্রিস জানিয়েছিলেন, ‘নাপোলির আরেক নাম ম্যারাডোনা। ফুটবলের প্রতি ম্যারাডোনার প্যাশন সম্পর্কে এই শহরের সকল মানুষ অবগত। সকল নেপোলিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তিনি। ম্যারাডোনার পরিবারের সঙ্গে আজ সকল নেপোলিয়ান আলিঙ্গনবদ্ধ। যা কখনও শেষ হওয়ার নয়।’
এএইচ/এসএ/