ফাইনালের লড়াইয়ে চট্টগ্রামের লক্ষ্য ২১১
প্রকাশিত : ১৯:৪৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৯:৪৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন জহুরুল ইসলাম অমি। যাতে আজ সন্ধ্যায় প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ২১১ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে জেমকন খুলনা।
‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। জহুরুল ইসলামের সঙ্গে খুলনার ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন জাকির হাসান।
জাকির নিজের ইনিংস বড় করতে অবশ্য ব্যর্থ হন। ২২ বলে মাত্র ১৬ রান করে রান আউট হন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস। আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি ব্যক্তিগত কারণে। এই ম্যাচে তাই যেন একটু বেশিই আগ্রাসী ছিলেন কায়েস। অবশ্য ১২তম বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করেন তিনি।
ইমরুলের বিদায়ের আগে-পরে ধুন্ধুমার চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন জহুরুল। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ২০ রানের জন্য পাননি শতকের দেখা। ৮০ রানের ইনিংসটি থামে দলীয় ১৩২ রানে। ৫১ বলের মোকাবেলায় জহুরুল হাঁকান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। তার বিদায়ে ক্রিজে আসা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ছিলেন মারকুটে ভঙ্গিতে। মাত্র ৯ বলের মোকাবেলায় ৩০ রান করা রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ২টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা।
ইনিংসের বাকি সময়ে দলের ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন সাকিব আল হাসান ও আরিফুল হক। ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকানো সাকিব ১৫ বলে ২৮ রান করেন, যা এই টুর্নামেন্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর। আরিফুল ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হন। তবে নাটকীয় শেষ ওভারে মাশরাফি একটি ছক্কা হাঁকালে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১০ রান।
চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। অবশ্য নাটকীয় ওই শেষ ওভারে দুটি নো-বল (বিমার) দেয়ায় মাঠ ছাড়াতে হয় তাকে। যে কারণে শেষ দুটি বল করেন সৌম্য সরকার।
এনএস/