সহজ জয়ে সুপার লিগের চারে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ২০ জানুয়ারি ২০২১
ম্যাচ সেরা সাকিবকে অধিনায়ক তামিমসহ সতীর্থদের অভিনন্দন।
প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে যেমন সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তেমনি আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগে ভারতকে টপকে টেবিলের চারে উঠে এলো তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল।
স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে তামিমের প্রথম ম্যাচের মাধ্যমে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরেছেন সাকিব আল হাসানও। তাই ম্যাচ শুরুর আগেই ছিল বাড়তি উন্মাদনা।
সেই উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে তোলেন ম্যাচ সেরা সাকিব নিজেই, তার রেকর্ডগড়া বোলিং ফিগারে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব ছাড়াও অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপের মুখে পড়ে সফরকারীরা। শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপরই প্রেক্ষাপটে সাকিব। প্রত্যাবর্তনে আলো ছড়ানো সাকিবের চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ের দিনে পেস অ্যাটাককে স্বস্তি দিয়েছেন তরুণ হাসান মাহমুদও। মাশরাফির অনুপস্থিতি তাই অনুভব হয়নি হাসান-মুস্তাফিজদের কারণেই।
মূলত এই ত্রয়ীর আগ্রাসী বোলিংয়েই ৩২.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা, সংগ্রহ করে মাত্র ১২২ রান। কাইল মায়ার্সের ৫৬ বলে ৪০ ও রোভম্যান পাওয়েলের ৩১ বলে ২৮ রানের দুই ইনিংস ছাড়া বলার মতো স্কোর নেই আর কারও।
দলের পক্ষে সাকিব একাই শিকার করেন চারটি উইকেট; ৭.২ ওভার বল করে ৮ রান খরচের দিনে দুটি ওভারই ছিল মেডেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রায় দেড় বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব আল হাসান। অসাধারণ ডেলিভারিতে আন্দ্রে ম্যাক কার্থিকে বোল্ড করে ঘরের মাঠে ১৫০ উইকেটের মালিক বনে গেলেন এই অলরাউন্ডার।
এছাড়া হাসান মাহমুদ তিনটি, মুস্তাফিজুর রহমান দুটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ একটি উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশকে সাবধানী শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ৮০ বলে ৪৭ রান করার পর থামে উদ্বোধনী জুটি। ৩৮ বলে ১৪ রান করে লিটন সাজঘরে ফিরেলেও ঝুঁকিহীন ব্যাটিং চালিয়ে যান তামিম। তবে তিনে নামা নাজমুল হোসাইন শান্ত ৯ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান। সাকিব ক্রিজে এসে উপভোগ করেন তামিমের সঙ্গ।
তামিম জয়ের ভিত গড়ে দিলেও অর্ধশতকের দেখা পাননি। ৬৯ বলে ৭টি চার হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন স্ট্যাম্পিং হয়ে। তামিমের মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে ব্যর্থ হন সাকিবও। দেখেশুনে খেললেও ৪৩ বলে ১৯ রান করে আকিলের তৃতীয় শিকার হিসেবে বোল্ড হন তিনি।
তবে দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। মুশফিকের ৩১ বলে ১৯ ও রিয়াদের ১৬ বলে ৯ রানের অপরাজিত দুই ইনিংসে বাংলাদেশ জয় পায় ৯৭ বল বাকি রেখেই। এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগেও শুভসূচনা হলো টাইগারদের।
এনএস/