প্রতিপক্ষকে অলআউট করেও মহাবিপদে পাকিস্তান
প্রকাশিত : ২১:১৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
১৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমে সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিনেই ২২০ রানে অলআউট হলো সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রতিপক্ষকে অলআউট করেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। এদিন শেষে ৪ উইকেটে ৩৩ রান করেছে তারা। ফলে দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮৭ রানে পিছিয়ে স্বাগতিক দল।
মঙ্গলবার থেকে করাচিতে শুরু হয় পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলছিলেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার ডিন এলগার ও আইডেন মার্করাম। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে প্রথম ২৯ বলে ৩০ রান তুলে ফেলেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে এই জুটি ভাঙ্গেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৬ বলে ৩টি চারে ১৩ রান করা মার্করামকে শিকার করেন আফ্রিদি।
দলীয় ৩০ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দলের রানের চাকা ঘুরান এলগার ও ভ্যান ডান ডুসেন। ইনিংসের শুরুতে দ্রুত রান উঠলেও, দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। তবে জুটিতে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি এলগার-ডুসেন। ১৭ রান করে রান আউট হন ডুসেন।
ডুসেনের সাথে বড় জুটির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এলগার। সেই ব্যর্থতা পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকে। ফ্যাফ ডু-প্লেসিস, অধিনায়ক কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার আভাস দিয়েও পারেননি এলগার। তৃতীয় উইকেটে ডু-প্লেসিসের সাথে ৪৫ ও পরে ডি ককের সাথে ২৫ রানের জুটি গড়েন। আর টেম্বা বাভুমার সাথে ৩ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি এলগার।
ডু-প্লেসিস ২৩ রানে স্পিনার ইয়াসির শাহের বলে এবং ডি কককে ১৫ রানে আউট করেন অভিষেক টেস্টে খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার নুমান আলি। এতে দলীয় ১৩৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন এলগার। তার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন এলগার। নুমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে বিদায় নেয়া এলগার-এর ১০৬ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার মারেন।
উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হবার পর, দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পরের দিকেও একই চিত্র দেখা যায়। টেম্বা বাভুমা ১৭ ও দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জিওর্জি লিন্ডে ৩৫ রানে থামেন। দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এক সময় ওয়ানডের এক নম্বর বোলার হাসান আলি বিদায় করেন লিন্ডেকে। আর ডুসেনের মতো ভুল করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন বাভুমা।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের বিদায়ে ২ শত রানের নীচে গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেটি হতে দেননি পেসার কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি। শেষ পর্যন্ত দলের স্কোর ২২০ রান পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হন এই দুই পেসার। শেষ ব্যাটসম্যান এনগিডি ৮ রানে থামলেও, ৩৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২১ রান করেন রাবাদা। পাকিস্তানের ইয়াসির ৩টি, আফ্রিদি-নোমান ২টি করে এবং হাসান ১টি উইকেট নেন।
৬৯ দশমিক ২ ওভার বল করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। দিনের শেষ ভাগে ১৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে মহাবিপদেই পড়ে তারা। স্কোর বোর্ডে ৩৩ রান উঠতেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন শীর্ষ চার ব্যাটসম্যান।
দুই ওপেনার অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ইমরান বাট ৯ ও আবিদ আলি ৪ রান করে রাবাদার শিকার হন। অধিনায়ক বাবর আজমকে ৭ রানে থামান দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে খালি হাতে ফিরেন শাহিন আফ্রিদি। শিকার হন এনরিক নর্টির।
দিন শেষে আজহার আলি ও ফাওয়াদ আলম ৫ করে অপরাজিত আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাদা ৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
এনএস/