ক্রিকেট থেকে ইউসুফ পাঠানের বিদায়
প্রকাশিত : ১১:৫৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ভারতের দুটি বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন। তবে জাতীয় দলের হয়ে ইউসুফ সবশেষ খেলেছিলেন ৯ বছর আগে। আর ঘরোয়া ক্রিকেট ছেড়েছেন এক বছর হলো। একইদিনে সরে দাঁড়ালেন আরেক ক্রিকেটার বিনয় কুমার।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইট করে নিজেই অবসরের কথা জানিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। বলেছেন, জীবনের এই ইনিংসের ফুল স্টপ টানলেন তিনি।
টুইটে ইউসুফ পাঠান লেখেন, ‘প্রথম যেদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে পরেছিলাম, দিনটার কথা স্পষ্ট মনে আছে। আমি শুধু জাতীয় দলের জার্সিই গায়ে চাপাইনি, বরং আমার পরিবার, কোচ, বন্ধু, গোটাদেশ ও সেইসঙ্গে নিজের প্রত্যাশাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলাম। তবে আজকের দিনটা একটু আলাদা। আজ কোনো বিশ্বকাপ বা আইপিএলের ফাইনাল নেই। তা সত্ত্বেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ সেই সময় এসেছে, যখন জীবনের এই ইনিংসটায় দাঁড়ি পড়ে যাচ্ছে। আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করছি।’
দেশের জার্সি গায়ে জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চ্যাম্পিয়ন দলের অংশও ছিলেন দুই বার। এছাড়া ছোট এই ফরম্যাটে বহুবার ঝড়ো ইনিংস খেলে ভারতকে জিতিয়েছেন তিনি।
টুইটারে ইউসুফ লেখেন, ‘আমি আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সমর্থক, দল, কোচসহ প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাদের লাগাতার ভালবাসা আর সমর্থনের জন্য।’
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ইউসুফ পাঠান। রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে ৫ রানে জিতে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। পরের বছরই ইউসুফের অভিষেক হয় ওয়ানডেতে। দেশের জার্সিতে ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০১১ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি।
২০১২ সালে দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৫৭ ওয়ানডে ও ২২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুটি শতরান ও তিনটি অর্ধশত রানসহ ৮১০ রান করা ছাড়াও ৩৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স খুব একটা সন্তোষজনক নয়; ২২ ম্যাচে রান ২৩৬, উইকেট ১৩টি।
জাতীয় দল ছাড়া আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন ইউসুফ। রাজস্থানের হয়ে একবার ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২ বার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন এই অলরাউন্ডার।
এএইচ/এসএ/