ঢাকা, বুধবার   ০৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সাইফের সেঞ্চুরি ও শামীম ঝড়ে উড়ে গেল আয়ারল্যান্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০২, ১০ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ০৯:০৮, ১০ মার্চ ২০২১

শতক উদযাপনে সাইফ হাসান

শতক উদযাপনে সাইফ হাসান

Ekushey Television Ltd.

সাইফ হাসানের অনবদ্য সেঞ্চুরির পর তৌহিদ হৃদয় এবং শামীমের ব্যাটিং নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ড উলভসকে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে উইকেট কীপার ব্যাটসম্যান লরক্যান টাকারের অনবদ্য ফিফটিতে চড়ে ২৬০ রানের পুঁজি পায় আইরিশরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রান আসে টাকারের ব্যাট থেকে। মাত্র ৫২টি বলে ৯টি চার ও দুটি ছক্কার মারে ঝড়ো এই ইনিংস খেলেন লরক্যান। এছাড়া কার্টিস ক্যাম্ফার ৪৩, জেমস ম্যাককলাম ৪০, অধিনায়ক হ্যারি টেকটর ৩৬, জেরেমি ললোর ২১ রান করেন।

শেষ ওভারে সুমন খানের বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ১৫টি রান আদায় করে ২৬০-এর ঘরে পৌছলেও আগের ম্যাচের থেকে আজ ৩ রান কম করেছে আয়ারল্যান্ড। গত ৭ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শামীমের লড়াকু ফিফটিতে ৬ উইকেটে হারে ২৬৩ করা আইরিশরা।

তবে, এদিনও তেমন সুবিধা করেতে না পারা টাইগার বোলারদের মধ্যে মুকিদুল ইসলাম ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৩ রানের বিনিময়ে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া সুমন খান ও তাওহীদ হৃদয় পান ১টি উইকেট। 

রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ম্যাচের মতো তৃতীয় ওয়ানডেতেও উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেন দলের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। আইরিশদের দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন দলের অধিনায়ক সাইফ। অন্যপাশে বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন তামিম।
 
তবে ভালো শুরু এনে দিয়েও উদ্বোধনী জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। সাইফ-তানজিদের ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন প্রিটোরিয়াস। দলীয় ৪৪ রানে প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ২৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। তানজিদ আউট হলেও আগ্রাসী ব্যাটিংটাই করেন সাইফ।

অন্যপাশ থেকে সাইফকে বেশ ভালোভাবেই সঙ্গ দিচ্ছেন মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও শুরুটা ধীরালয়েই করেন জয়। তবে বেশ আগ্রাসী মেজাজে থাকা সাইফ মাত্র ৪৩ বলে ফিফটি হাঁকান। সাইফের ফিফটির পরই সাজঘরে ফেরেন ২৯ বলে ১৬ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়। ডেলানির বলে এলবিডব্লুর শিকার হন তিনি।

৯৬ রানে দুই উইকেট পড়লে ইয়াসিরকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান সাইফ। তবে এ দুই জনের জুটিও স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। দলীয় সংগ্রহে ৩১ রান যোগ করতেই চেজের বলে বোল্ড হন ১৩ রান করা ইয়াসির। তবে সব বাঁধা মাড়িয়ে ঠিকই সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকেন সাইফ। তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে বলের সাথে রানের ব্যবধানও কমিয়ে আনতে থাকেন সাইফ।

কাঙ্খিত সেই সেঞ্চুরিটি আসে ৩৬তম ওভারে। ওই ওভারে গ্যারেথ ডেলানির প্রথম দুই বলে ১০ রান নিয়েই শতক পূর্ণ করেন সাইফ। শতক হাঁকানোর পরও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে দেখা যায় সাইফকে। তবে তাকে থামতে হয় ব্যক্তিগত ১২০ রানে। ডেলানির বলে টাকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাইফ। তবে ততক্ষণে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় বাংলাদেশ।

দলের জয়ের কাজটা আরও সহজ করে দেন শামীম পাটওয়ারি। ব্যাট করতে নেমে এদিনও আক্রমণাত্মক খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম। সাইফের সেঞ্চুরির পর তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ৬ রানের প্রয়োজন হলে চেজের করা ওভারটির তৃতীয় বলে চার মেরে ৬ উইকেট হাতে রেখেই দলকে জয় এনে দেন শামীম। ৪৪ বলে ৪৩ করে অপরাজিত থাকেন হৃদয় আর ২৫ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম। তবে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা উঠেছে সেঞ্চুরিয়ান সাইফের হাতেই।

আর এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। দুই দলের চতুর্থ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুরে, আগামী ১২ মার্চ।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি