ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

টাইগারদের পাত্তাই দিল না কিউইরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৩, ২০ মার্চ ২০২১

Ekushey Television Ltd.

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। ১৩১ রানেই গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। মাত্র ২১ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে স্বাগতিকরা। এ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা ১৪ ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।

১৩২ রানের টার্গেটে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ডানহাতি ওপেনার মার্টিন গাপটিল। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম ওভারেই তিনি চার-ছয়ের মারে তুলে নেন দশ রান। দলীয় পঞ্চাশ রান পূরণ করতে নেন মাত্র ৫ ওভার। তবে তাকে বেশিদূর যেতে দেননি তাসকিন আহমেদ।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথমবারের মতো তাসকিনকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সেই ওভারের তৃতীয় বলে বড় শট হাঁকানোর চেষ্টায় কট বিহাইন্ড হন গাপটিল। আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ৪টি বিশাল ছয়ের মারে মাত্র ১৯ বলে করেন ৩৮ রান।

এরপর ডেভন কনওয়েকে নিয়ে হেনরি নিকোলস দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৬৫ রান। যখন জয়ের জন্য মাত্র ১৩ রান বাকি তখন হাসান মাহমুদের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচে দিয়ে ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফেরেন কনওয়ে।

নিকোলসের সঙ্গে এরপর যুক্ত হন উইল ইয়ং। এই জুটিই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। হেনরি নিকোলস ৫৩ বল মোকাবেলায় ৬ চারে ৪৯ রানে থাকেন অপরাজিত। আর ৬ বলে ২ চারে ১১ রানে অপরাজিত অভিষিক্ত উইল ইয়ং।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। তবে ছক্কা মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ভালো করার ইঙ্গিত দিলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৩ রানেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ওয়ানডাউনে নামা ফর্মহীনে থাকা সৌম্য সরকারও ফেরেন শূন্য রানে।

এরপর লিটন দাশকে নিয়ে ইনিংস লম্বা করতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। কিন্তু ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৪২ রানের মাথায় জেমস নিশামের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরতে হয় লিটনকে। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে একটি চারে ১৯ রান করেন লিটন।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবার দলের হাল ধরলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে। প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহের পথেই রেখেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে এদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মুশি। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় ৪৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে জেমস নিশামের বলে মার্টিন গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশি।

ভাগ্যবিড়ম্বনায় মোহাম্মদ মিথুনকেও মাঠ ছাড়তে হয় ৯ রান করেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসা বল স্ট্যাম্পে লাগার আগে বোলারের স্পর্শে আউট হতে হয় মিথুনকে।

আর ১০ বল খেলে ১ রান করে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর অভিষেক হওয়া মেহেদী হাসান কিছুটা হুঙ্কারের ইঙ্গিত দিলেও বেশিক্ষণ ব্যাট করতে পারেননি। মিচেল স্যান্টনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হেনরি নিকোলসের হাতে বল তুলে দিয়ে ২০ বলে ১৪ রানে ফেরেন মেহেদি হাসান। আর তাতেই মাত্র ৯৮ রানে ৭ম উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের।

এরপর পেসার তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ সময়ের জুটি গড়েন রিয়াদ। তবে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র প্রথম বলে ম্যাট হেনরিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনারের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন রিয়াদ। আর তাতেই বিপদের মুহূর্তে ৫৪ বলে ২৭ রানের ইনিংসের খেলে ফিরতে হয় তাকে।

এরপর আর খুব বেশি সময় দেয়নি কিউই বোলাররা। ট্রেন্ট বোল্ট দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলে হাসান মাহমুদকে বোল্ড করেন আর ৫ম বলে তাককিন আহমেদ স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এর আগে ৩২ বলে ১০ রানের ইনিংস খেলেন তাসকিন। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটিটাই টাইগারদের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি।

কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৮.৫ ওভার বল করে মাত্র ২৭ রানের বিনিময়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ এবং তাসকিনের উইকেট নেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড :

নিউজিল্যান্ড : ১৩২/২. ২১.২ ওভার, (মার্টিন গাপটিল ৩৮, হেনরি নিকোলস ৪৯ (অপ.), ডেভন কনওয়ে ২৭, উইল ইয়ং ১১ (অপ.); (মোস্তাফিজুর রহমান ৪-০-২৬-০, হাসান মাহমুদ ৪.২-০-৪৯-১, তাসকিন আহমেদ ৪-০-২৩-১, মেহেদি হাসান ৬-০-১৭-০)

বাংলাদেশ : ১৩১/১০, ৪১.৫ ওভার, (তামিম ১৩, লিটন ১৯, সৌম্য ০, মুশফিক ২৩, মিঠুন ৯, মাহমুদউল্লাহ ২৭, মিরাজ ১, মেহেদি হাসান ১৪, তাসকিন ১০, মাহমুদ ১ এবং মোস্তাফিজুর ১*); (বোল্ট ৮.৫-০-২৭-৪, হেনরি ৯-১-২৬-১, নিশাম ৮-১-২৭-২, স্যান্টনার ৮-০-২৩-২, কাইল জেমিসন ৮-১-২৫-০)
এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি