ক্লাবগুলো চাইলেই ইএসএল ছাড়তে পারবে না : রিয়াল প্রেসিডেন্ট
প্রকাশিত : ১২:৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২১
তুমুল সমালোচনার মুখে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ১২টি ক্লাবের মধ্যে নয়টি ক্লাবই নাম প্রত্যাহার করে নেয়। রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেছেন, যে ১২টি ক্লাব ইউরোপিয়ান সুপার লিগে (ইএসএল) নাম লিখিয়েছে তাদের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে এবং চাইলেই ছাড়তে পারবে না।
ব্রিটেনের শীর্ষ ছয়টিসহ বারোটি ক্লাব ইএসএল নামের একটি নতুন টুর্নামেন্টে যুক্ত হয়েছে এমন খবর বের হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। ক্লাবগুলোর সমর্থক ও সাবেক ফুটবলাররা এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে একাট্টা হন।
তবে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদসহ তিনটি ক্লাব এখনো ইএসএল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মত কোন সিদ্ধান্তে যায়নি।
স্পেনের একটি দৈনিক পত্রিকা এএসের কাছে পেরেজ বলেন, ‘বাধ্যবাধকতাসহ যে চুক্তি হয়েছে সেটা আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই আমার, আসলে ক্লাবগুলো চলে যেতে পারবে না। চাপের মুখে কিছু ক্লাব বলেছে, তারা থাকবে না। কিন্তু এই প্রজেক্ট হোক কিংবা এর কাছাকাছি কিছু সামনে এগুবেই। আমি আশা করছি দ্রুত সামনে আগাবো আমরা।’
ইএসএলের সাথে জড়িত ক্লাবগুলোকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ইউরো দেয়ার কথা আমেরিকার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জেপি মরগানের। কিন্তু এই প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করছে জেপি মরগান- এমন খবরকেও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন মি. পেরেজ।
‘এই ১২টি ক্লাব যেভাবে পুনরায় ভাবছে, বিনিয়োগকারীরাও ভাবছে কী হবে, কী হতে পারে। আমাদের কিছু পরিবর্তন যদি আনতে হয় সেটা আনবো কিন্তু সুপার লিগই এখন পর্যন্ত আমাদের ভাবনায় সেরা প্রজেক্ট’ বলেন রিয়াল প্রেসিডেন্ট।
পেরেজ বৃহস্পতিবার বলেন, আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহ্যাম হটসপার সরে গেলেও ইএসএল ‘স্ট্যান্ডবাই’ অবস্থায় আছে।
গত সপ্তাহে ১২টি ক্লাব মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ঘোষণা দেয়। এর দুই দিনের মধ্যে তুমুল সমালোচনার মুখে অনেকটাই বানচাল হয়ে যায়।
সুপার লিগ ঘিরে যেসব পরিকল্পনা ছিল
এই লিগে থাকার কথা ছিল ২০টি দল। ১২টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আরও তিনটি ক্লাব যোগ দেয়ার কথা। এছাড়া ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ভিত্তিতে আরও পাঁচটি ক্লাবকে এখানে খেলানোর ভাবনা ছিল।
প্রতিবছরই আগস্টে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু হয়ে সপ্তাহের মাঝে খেলাগুলো হওয়ার কথা। ১০টি দল করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঘরের মাঠ ও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে। সেরা তিনটি করে দল কেয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যাবে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাবটি নিজেদের মধ্যে প্লে অফ খেলবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে দুই লেগের নকআউট পর্ব শেষে প্রতি বছর মে মাসে একটি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা হবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে ইএসএল বেশি অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদি ছিল ক্লাবগুলো।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এএইচ/