দলের ৫২ রানেই তামিমের ৫০!
প্রকাশিত : ১৪:৩৬, ২৫ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ১৪:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০২১
দ্রুততম ফিফটির পথে তামিমের শট।
আজ পাল্লেকেলে টেস্টের পঞ্চম দিনে লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৬৪৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। যাতে ১০৮ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাইফ-শান্তকে হারালেও তামিমের দ্রুততম অর্ধশতকে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের স্কোর।
২২ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭০ রান। তামিম ইকবাল ৬৩ রানে এবং মোমিনুল হক ৬ রানে ক্রিজে আছেন। মাত্র ৫৬ বলেই ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় নিজের ৩০তম ফিফটিতে পৌঁছান তামিম। আর তামিম যখন পঞ্চাশে পৌঁছান দলের রান তখন ৫২! অর্থাৎ অন্যরা মিলে মাত্র ২ রান যোগ করে দলীয় স্কোরে।
এর আগে ১০৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। চার ওভার না পেরোতেই লাকমলের পেস তোপে পড়ে সফরকারীরা। যাতে প্রথম ইনিংসের মতো এ ইনিংসেও কোনও সুবিধা করতে না পারা সাইফ হাসান ফেরেন ১ রান করেই।
লাকমলের পরের ওভারেই বোল্ড সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। আগের ইনিংসে সর্বোচ্চ ইনিংস খেললেও এ ইনিংসে ফিরতে হয় শূন্য হাতেই। যাতে মাত্র ২৭ রানেই দ্বিতীয় উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। যাতে শেষ দিনে এসে জমে উঠেছে পাল্লেকেলে টেস্ট।
এর আগে রোববার সকালে পাল্লেকেলে টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই পাঁচটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবুও প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪৪ রান করেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ৩টি উইকেট নিয়ে সফল বোলার তাসকিন আহমেদ।
এর আগে টেস্টের চতুর্থ দিনের পুরোটাই বাংলাদেশ বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে হতাশ করেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। পিচের পূর্ণ ফায়দা তুলে চতুর্থ দিনের পুরোটাই ব্যাটিং করেন তৃতীয় দিনে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া দিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এদিন সেঞ্চুরির পর ডাবল সেঞ্চুরির দেখাও পান করুনারত্নে। অন্যদিকে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ডাবল সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন ধনাঞ্জয়া।
যাতে আগের দিনে হারানো তিন উইকেটেই ৫১২ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম দিনে ২৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে এবং ১৫৪ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে এসেছিলেন ধনাঞ্জয়া। দিনের প্রথম সেশনে কিছুটা আগ্রাসী খেলার প্রবণতা দেখা যায় দুজনের মাঝেই।
তবে লিড নেয়ার আগেই অবশেষে উইকেট পড়ে শ্রীলঙ্কার। ১৬৬ রান করা ধনাঞ্জয়াকে বোল্ড করেন তাসকিন। সেই সাথে ভাঙে করুনারত্নে-ধনাঞ্জয়ার ৩৪৫ রানের বড় জুটি। ধনাঞ্জয়ার বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা লঙ্কান অধিনায়কও। এবারও বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তাসকিন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৩৭ বলে ২৪৪ রান করেন করুনা।
দিমুথের বিদায়ের পরই পাথুম নিশাঙ্ককে ফিরিয়ে এই টেস্টের প্রথম উইকেট লাভ করেন এবাদত। এই তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পরই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় লঙ্কান উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়েলাকে। দ্রুত রান তোলাই ছিল তার লক্ষ্য। হাসারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তোলার কাজটা চালিয়ে যান তিনি।
তবে দলীয় ৫৮৫ রানে ভুল বোঝাবুঝিতে সাজঘরে ফিরতে হয় ৩৩ বলে ৩১ রান করা ডিকওয়েলাকে। তাতেও কী থেমে থাকে শ্রীলঙ্কা? ডিকওয়েলার বিদায়ের পর লাকমলকে নিয়ে লিড বড় করতে থাকেন হাসারাঙ্গা। লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৬৪৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
এনএস/