শীর্ষে ওঠার হাতছানিতে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১১:০৭, ২৫ মে ২০২১
টিম বাংলাদেশ
ঘরের মাটিতে ক্যারিবিয়দের হোয়াটওয়াশ করে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগে উড়ন্ত সূচনা করলেও নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার হাতছানিতে টাইগাররা।
সাত ম্যাচে চার জয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে এখন টেবিলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সুতরাং আজ অথবা আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ম্যাচের যে কোনও একটিতে জয় পেলেই ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সমান ৪০ পয়েন্ট নিয়েও রানরেটে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ড নয় ম্যাচে পেয়েছে চারটি জয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছে ছয় ম্যাচের চারটিতে। তাই একটি ম্যাচ জিতলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে যাবে বাংলাদেশ।
এদিকে, সর্বশেষ ইংল্যাণ্ড বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল দশটি দল। যেখানে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল সরাসরি অংশ নিয়েছিল, আর বাকি দুটি দল সুযোগ পেয়েছিল বাছাই পর্ব খেলে। আগামী বিশ্বকাপেও দশটি দল অংশ নিলেও থাকছে না সেই আগের নিয়ম।
ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওই বিশ্বকাপে খেলার জন্য আইসিসির ১২টি পূর্ণ সদস্য ও সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডসসহ মোট ১৩টি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ সুপার লিগ। যে লিগের শীর্ষ সাত দল সরাসরি অংশ নেবে বিশ্বকাপে। শীর্ষ সাত দলের মধ্যে আবার স্বাগতিক ভারত থাকলে, বিশ্বকাপের টিকিট পাবে আট নম্বরে থাকা দলটি।
বাকি দুটি জায়গার জন্য লড়াই করবে সুপার লিগের নিচের দিকে থাকা পাঁচটি দল ও আইসিসির সহযোগী সাতটি দেশ নিয়ে আয়োজন করা বাছাই পর্বের শীর্ষ তিন দল। যে বাছাই পর্বে অংশ নেবে আইসিসির সহযোগী সাতটি দেশ- আরব আমিরাত, নেপাল, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি, যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া। এই সাতটি দেশ ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৩৬টি করে ম্যাচ খেলবে।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপ সুপার লিগে অংশ নেয়া ১৩টি দেশই চারটি করে হোম এবং চারটি করে অ্যাওয়েসহ মোট ৮টি সিরিজ খেলবে। প্রতিটা সিরিজে থাকবে তিনটি করে ওয়ানডে। তবে নিজেরা চাইলে সিরিজে ম্যাচ সংখ্যা বাড়াতেও পারবে দলগুলো। তবে সেগুলো সুপার লিগের অংশ হবে না। সিরিজের প্রতিটা ম্যাচে থাকবে দশ পয়েন্ট করে। ম্যাচ টাই বা পরিত্যক্ত হলে সমান পাঁচ পয়েন্ট করে পাবে দুই দলই।
মোট আটটি সিরিজে সর্বমোট ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে এই ১৩টি দল। প্রতিটা দলের জন্য ২৪ ম্যাচে থাকবে ২৪০ পয়েন্ট। বাংলাদেশ দলের হোম সিরিজগুলো হলো- ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর প্রতিপক্ষের মাঠে সিরিজগুলো হলো- নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সিরিজ খেলেছে ও শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ চলমান। আর দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ডে খেলে এসেছে একটি সিরিজ।
এনএস/