ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শান্ত-নাঈমের আক্ষেপে পুড়ল আবাহনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৮, ৭ জুন ২০২১

Ekushey Television Ltd.

ডিপিএলের ১৯তম ম্যাচে ইমতিয়াজ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে আবাহনীকে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। জবাবে শান্ত ও নাঈমের ব্যাটিং ঝড়ে জয়ের পথে থাকলেও এ দুজনের আক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পুড়লো আবাহনী।

আজ সোমবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে খেলাঘর। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয় আবাহনী লিমিটেড। 

শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি জবাব দিতে নামা আবাহনীর। শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারানোর পর মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে জবাব দিতে নামা মুশফিক বাহিনী। সে অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলার পাশাপাশি ব্যাটে ঝড় তুলে জয়ের লক্ষ্যেই ছুটতে থাকেন শান্ত ও নাঈম। 

তবে ১৩তম ওভারে এসে তাদের ৫৯ বলে ৮৫ রানের এ দুরন্ত জুটি ভাঙেন রাফসান আল মাহমুদ। এসময় মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন শান্ত। তাঁর ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার। পরে একই পথে হাঁটেন নাঈমও। খালেদ আহমেদের শিকার হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকেও আসে ৪৯ রান, ৪২ বলের যে ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়ের মার।

মূলত এ দুজনের বিদায়ের মধ্য দিয়েই যেন শেষ হয় আবাহনীর আশা-ভরসাও। কেননা, জয়ের জন্য যথেষ্ঠ সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আফিফ ও মোসাদ্দেক। এই দুজন ক্রিজে আসার পর শেষ পাঁচ ওভারে ৪৮ রান প্রয়োজন পড়ে আবাহনীর। যা পূরণ করতে পারেননি এই দুই হার্ড হিটার। 

শেষ বলে খালেদ আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ১৯ বলে ২১ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। অন্যপ্রান্তে ১৮ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ। যাতে মাত্র ৮ রানে হেরে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করে মুশফিকের দল। সেইসঙ্গে নেমে যায় পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। ইমতিয়াজ হোসাইন ও রাফসান আল মাহমুদ মিলে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন। চতুর্থ ওভারে ৪২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি। ১২ বলে ১৮ রান করে রাফসান আল মাহমুদ ফিরে যান নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে সচল থাকে খেলাঘরের রানের চাকা। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন মিরাজ। ৪টি চার ও এক ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি। বড় স্কোর গড়তে পারেননি জহুরুল ইসলাম অমিও। ৫ রান করে আরাফাত সানির দ্বিতীয় শিকার হন ক্যাপ্টেন। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন ইমতিয়াজ। তুলে নেন অর্ধশতকও।

ইনিংসের ১৬তম ওভারে বিদায় নেন ইমতিয়াজ। মোসাদ্দকের বলে বোল্ড হওয়ার আগে খেলা ৪৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। স্লগ ওভারে ৯ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন সাদ্দাম হোসেন। যাতে ওই সংগ্রহ পায় খেলাঘর। আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক ও সানি দুটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ সেরা হন ইমতিয়াজ হোসাইন। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি