ইউরোপিয়ান সুপার লিগ, পিছু হটল উয়েফা
প্রকাশিত : ১০:২৬, ১০ জুন ২০২১
বহুল আলোচিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ যাতে মাঠে গড়াতে না পারে তার সব প্রচেষ্টা চালিয়েছে উয়েফা। সবশেষ রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু সেই কার্যক্রম স্থগিত করেছে উয়েফার স্বাধীন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৯ জুন) রাতে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা আপিল বিভাগ।’ এর আগে গত ২৫ মে ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল উয়েফা।
গত ১৮ এপ্রিল সুপার লিগ আবির্ভাবের দুই দিন পরই অনেক আলোচিত-সমালোচিত এই টুর্নামেন্টের পক্ষে মত দেয় স্পেনের একটি বাণিজ্যিক আদালত। রায়ে বলা হয়, ফিফা ও উয়েফা ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ১২টি ক্লাবের সুপার লিগ গঠন রোধ করতে পারে না।
ফিফা ও উয়েফা যদি ক্লাবগুলোকে বিচ্ছিন্ন সুপার লিগ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে ইইউ কম্পিটিশন আইন ভঙ্গ করে, তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসকে অনুরোধ করেছিল মাদ্রিদের আদালত। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে সুইস আদালতের আদেশেই মূলত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করল উয়েফা।
গত এপ্রিলে আবির্ভুত হয় সুপার লিগ। তাতে ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাব যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলে ঝড় ওঠে ফুটবল বিশ্বে। সমালোচনায় মুখর হয় ফুটবল বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ক্লাবগুলোর সমর্থকরাও।
প্রবল চাপের মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের ৬ ক্লাব। পর দিন সেই কাতারে যোগ দেয় ইন্টার মিলান ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। তাতে প্রকল্পটি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। পরবর্তীতে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় এসি মিলানও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে টুর্নামেন্টটি দেখছে উয়েফা। ফলে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া ৯ ক্লাবকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করায় সংস্থাটি। চুক্তিপত্রে পরবর্তীতে এমন কোনো ভুল করলে বড় শাস্তির শর্ত রাখা হয়। এরপর ওই দলগুলোকে ‘আর্থিক জরিমানা’ করা হয়। এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাবকে জরিমানা করে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
তবে এখনও সুপার লিগ নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রিয়াল, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস।
এএইচ/