নাদালকে হারিয়ে জোকোভিচের এভারেস্ট জয়!

মহাকাব্যিক ম্যাচে মহাকাব্যিক জয়! ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালকে হারানোর পর নোভাক জোকোভিচের মনে হচ্ছে, তেনজিং নোরগের মতো তিনিও যেন মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ফেলেছেন। সারাজীবন এই ম্যাচ মনে রাখবেন বলেও জানিয়ে দিলেন সার্বিয়ান তারকা।

ম্যাচ জয়ের পর দৃশ্যতই আপ্লুত জোকোভিচ বললেন, “রোলাঁ গারো-তে নিঃসন্দেহে আমার খেলা সেরা ম্যাচ এটি। আমার খেলোয়াড় জীবনের অন্যতম সেরা তিন ম্যাচের মধ্যে এটা থাকবে। যে ধরনের টেনিস খেলা হয়েছে, সেটা মাথায় রেখেই বলছি। গত ১৫ বছরে এই কোর্টে চূড়ান্ত সাফল্য পেয়ে এসেছে ও (নাদাল)। আজকের রাতের এই পরিবেশও ছিল অসামান্য। এ ধরনের রাত, এ ধরনের ম্যাচ সারাজীবন মনে থাকতে বাধ্য।”

শুক্রবার (১১ জুন) রাতে প্যারিসের সুরকির কোর্টে একচ্ছত্র অধিপতি নাদালকে হারাতে পাঁচ সেটও লাগেনি নোভাকের। কিন্তু এখানেই গতবারের ফাইনালে সরাসরি সেটে উড়ে গিয়েছিলেন সার্বিয়ান। এদিনও প্রথম সেটে ০-৫ গেমে পিছিয়ে পড়েন নোভাক। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতেছেন ৩-৬, ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪), ৬-২ গেমে।

পিছিয়ে পড়েও কীভাবে অতটা স্বাভাবিক ছিলেন তিনি? জোকোভিচের উত্তর, “একটুও নার্ভাস হইনি। গতবারের ফাইনালের থেকে অনেকটা অন্যরকম লাগছিল। বল ভালো মারছিলাম, শারীরিক দিক থেকেও নিজেকে অনেকটা সপ্রতিভ লাগছিল। ধীরে ধীরে ছন্দ পেয়ে গেলাম। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাইনি। প্রথম সেটে হেরে গেলেও নিজের খেলা খুঁজে পেয়ে গেলাম।”

প্রতিপক্ষ নাদালকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত নোভাক বলেন, “রোলাঁ গারোর ইতিহাসে সব থেকে সফল খেলোয়াড় ও (নাদাল)। তবে এই নিয়ে বোধ হয় তিনবার হারলো এখানে। যখনই ওর বিরুদ্ধে কোর্টে আমি, ভেবে নিই যে আমাকে মাউন্ট এভারেস্টে চড়তে হবে।” 

যাইহোক, নাদালকে হারানোর পর জোকোভিচের সামনে এবার ১৯তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের হাতছানি। যেখানে তাঁর সামনে বাঁধা কেবলই পঞ্চম বাছাই গ্রিসের স্টেফানোস সিৎসিপাস। যে কিনা ষষ্ট বাছাই ইতালির তারকা অ্যালেক্সান্ডার জেভেরেভের বিপক্ষে বেশ কষ্টেশিষ্টেই জয় লাভ করেন। একই দিনে  ৬-৩, ৬-৩, ৪-৬, ৪-৬ ও ৬-৩ গেমে জয় পান সিৎসিপাস।

এ বিষয়ে সার্বিয়ান তারকা বিশ্বের এক নম্বর বাছাই বললেন, “এখন নিজেকে মোটেই তরতাজা লাগছে না। কিন্তু আগামী দেড়দিনে নিজেকে অনেকটাই তৈরি করে নেব ফাইনালের জন্যে।”

এনএস/