শতক হাঁকিয়ে শীর্ষে মিজানুর, বোলিংয়ে যথারীতি তানভীর
প্রকাশিত : ১১:০১, ১৭ জুন ২০২১ | আপডেট: ১২:৫১, ১৭ জুন ২০২১
সেঞ্চুরি হাঁকানো মিজানুর রহমান
চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ তথা ডিপিএলের টি-টোয়েন্টি আসর। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে সর্বত্রই চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখা গেলেও উল্টো চিত্র ডিপিএলে। এখানে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বোলাররাই। এজন্য অবশ্য উইকেটকেই দায়ী করছেন অনেকে। যদিও মাঝে মধ্যে ব্যাটসম্যানরাও রাখছেন গ্রুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
তবে বোলিং-ব্যাটিং উভয়ের সমন্বয়েই এখন পর্যন্ত হওয়া দশ ম্যাচের দুটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। অন্যদিকে সবকটিতেই হেরে একবারে তলানিতে জায়গা করে নিয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব।
১২ দলের এই টুর্নামেন্টে এবার শুরু থেকেই চমক দেখাচ্ছিল বোলাররা। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ব্যাটসম্যানরাও। এখন পর্যন্ত একটিমাত্র শতকের দেখা মিললেও অর্ধশতকের দেখা মিলেছে ৪৯টি। সর্বোচ্চ ইনিংস ১০০ রানের। যে ইনিংসটি আজই শেখ জামালের বিপক্ষে খেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ওপেনার মিজানুর রহমান।
৬৬ বল মোকাবেলায় ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। যাতে চড়ে ১৭ ওভারে ১৩৩ রান তুলেছে ব্রাদার্স, দুই উইকেট হারিয়ে। সেইসঙ্গে এগারো ম্যাচের দশ ইনিংসে ব্যাট করে একটি শতক ও তিন অর্ধশতকে ৫২ গড়ে ৪১৮ রান সংগ্রহ করে শীর্ষস্থান দখল করেছেন এই ডানহাতি।
অন্যদিকে, দশ ইনিংসে ব্যাট করে দুই ফিফটিতে ৫২.৫ গড়ে ৩৬৭ রান নিয়ে তালিকায় দুই নম্বরে অবস্থান করছেন মিজানুরের কাছে শীর্ষস্থান হারানো ওল্ড ডিওএইচএসের ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ইনিংস ৮৫*।
এদিকে, মাত্র একটি অর্ধশতক হাঁকালেও নিয়মিত রান করে তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছেন শীর্ষস্থানে থাকা দল প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এগারো ইনিংসে ব্যাট করে ৩০.৫০ গড়ে এই ওপেনারের মোট রান ৩০৬। সর্বোচ্চ ইনিংস ৫৫।
এছাড়া দুই ফিফটিতে সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুন ও আনিসুল ইমনকে হটিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন রনি তালুকদার। ২৫.০৯ গড়ে এগারো ইনিংসে প্রাইম ব্যাংকের এই ওপেনারের রান ২৭৬। যেখানে সর্বোচ্চ ইনিংস ৫৪।
আর একটি ফিফটি হাঁকিয়ে ২৭.৩০ গড়ে ২৭৩ রান নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন ওল্ড ডিওএইচএসের আরেক ব্যাটসম্যান আনিসুল ইসলাম ইমন। তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৪।
অন্যদিকে, ৯.৩৫ গড়ে ও ৪.৭৯ ইকোনোমি রেটে দশ ম্যাচে ২০টি উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় যথারীতি শীর্ষে রয়েছেন তানভীর ইসলাম। শাইনপুকুরের এই বাঁহাতি স্পিনার ইনিংসে পাঁচ উইকেট না পেলেও সেরা বোলিং ফিগার ৪/২৩।
এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান সংখ্যক উইকেট শিকার করলেও ইকোনোমি রেট (৭.১৩) ও উইকেটপ্রতি রান গড়ে (১২.৩) পিছিয়ে থেকে দুইয়ে অবস্থান করছেন প্রাইম দোলেশ্বরের বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি। দুইবার চার উইকেট নেয়া ডানহাতি এই পেসারের সেরা বোলিং ফিগার ৪/১১।
১৭টি উইকেট নিয়ে এই দুজনের পরেই আছেন শেখ জামালের পেসার সালাউদ্দিন শাকিল। একটা ইনিংস কম খেলা খেলাঘরের পেসার খালেদ আহমেদের উইকেট সংখ্যা ১৬টি। খালেদ একবারও চার উইকেটের দেখা না পেলেও একবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন শাকিল, সেরা বোলিং ফিগার ৫/১৬।
তবে শাকিলের থেকেও কম গড় ও ইকোনমি ধরে রেখে ১৫টি উইকেট নিয়ে তালিকার সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের উত্তরসূরি শরিফুল ইসলাম। বিশ্বকাপজয়ী বাঁহাতি এই তরুণ পেসারের সেরা বোলিং ফিগার ২৩/৩। খেলছেন শীর্ষ দল প্রাইম ব্যাংকের হয়ে।
এছাড়া আট ইনিংসে ১৩টি উইকেট নিয়ে আট নম্বরে জায়গা পেয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসে একবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ফিজ। সেরা বোলিং ফিগার ৫/২২।
এনএস/