ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

চার ফিফটির ম্যাচে বিধ্বংসী নুরুল, হারলো প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৯, ২১ জুন ২০২১

নিজ নিজ দলের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, সৈকত আলী ও মুশফিকুর রহিম। যাতে জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সুপার লিগ পর্ব শুরু করলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড।

রোববার (২০ জুন) সুপার লিগে দুপুরের ম্যাচে সৈকত আলীর ফিফটিতে ভর করে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। রাতে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন মুশফিক। দলীয় অধিনায়কের ব্যাটে চড়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী।
 
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দুপুরের ওই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে শেখ জামাল। ব্যাট হাতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক।

ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৪২ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান করেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেয়া রাকিবুল হাসানও ব্যাটে ঝড় তোলেন এদিন। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। শেখ জামালের সফল বোলার ইলিয়াস সানি নেন ২টি উইকেট।

১৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে যদিও শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালের। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৫ রান করে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সৈকত আলী। ৩৬ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন সৈকত। আর ৪৪ রান আসে ইমরুলের ব্যাট থেকে।

শেষদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান বিধ্বংসী ইনিংস খেলে শেখ জামালের জয় নিশ্চিত করেন। ১৭ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিলো ২টি চারের সঙ্গে ৪টি বিশাল ছক্কার মার। যাতে মাত্র ১১ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় তিন উইকেট হারানো শেখ জামাল। তবে ম্যাচ সেরা হন সৈকত।

অপর ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মুনিম শাহরিয়ারের ঝোড়ো ব্যাটিং ও মুশফিকের ফিফটিতে চড়ে ১৯৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে আবাহনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর ৩২ বলের এ অজেয় ইনিংসে ছিল ৮টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার।

মারকুটে ওপেনার মুনিম করেন পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায় ২৭ বলে ৪৩ রান। এছাড়া তিন ছক্কায় ১৭ বলে ২৭ রান করেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। আর ১৮ বলে ২৪ করেন মোহাম্মদ নাঈম। এছাড়াও আফিফের ৯ বলে ১০ রান ও মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকতের ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিওতে চড়ে ওই বিশাল স্কোর গড়ে আবাহনী।

সাকিবহীন মোহামেডানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও আসিফ হাসান। এছাড়া বাকী উইকেটটি যায় আবু জায়েদ রাহীর ঝুলিতে।

জবাব দিতে নেমে আবাহনীর বোলার-ফিল্ডারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৪২ রানেই ৬টি উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে মোহামেডান। ওই অবস্থা থেকে প্রতিরোধ গড়ে দলকে টেনে তোলার কাজ করেন মাহমুদুল হাসান ও পেসার আবু হায়দার রনি। 

এর মাঝে দলীয় ১২০ রানের মাথায় মাহমুদুল ফিরে গেলেও ব্যাটিং ঝড় অব্যাহত রাখেন রনি। তুলে নেন শর্ট ফরম্যাটে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও তা দিয়ে দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি আবু হায়দার রনি।

৭ উইকেট হারানো শুভাগত হোমের দল থামে ১৩৩ রানে। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে। এছাড়া ইরফান শুক্কুর করেন ২৭ রান। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসাইন ২টি করে এবং তানজিম হাসান সাকিব ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন মুশফিকুর রহিম। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি