শিশুসুলভ আনন্দে মাতোয়ারা লিওনেল মেসি
প্রকাশিত : ১৭:১৮, ১১ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৭:১৯, ১১ জুলাই ২০২১
দীর্ঘ ২৮ বছর পর শিরোপা জয়ে শিশুসুলভ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠলেন লিওনেল মেসি। তার এ হাসি এবং ফোনে কথা বলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই জয়ের মাধ্যমে বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। মেসি পেলেন প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা।
ম্যাচের শুরু থেকে ব্রাজিল পায়ে বল রেখে গোল দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। রদ্রিগো ডি পলের দেয়া লং বল থেকে ডি মারিয়া নিখুঁতভাবে ব্রাজিলের গোলকিপার এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত তারা ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করে।
জয়ের পর লিওনেল মেসি, সার্জিও অ্যাগুয়েরো, অ্যানহেল ডি মারিয়া- সবাই তাদের আরাধ্য ট্রফি নিয়ে করলেন উদযাপন। কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল মেসি তার মুঠোফোনে কাকে যেন দেখাচ্ছেন, তার গলায় ঝোলানো সদ্য জেতা সোনালী পদকটি।
এই সোনালী মেডেলের মূল্য তিনি জানেন, এর আগে দ্বিতীয় সেরা হয়ে তিনবার কোপা আমেরিকার মঞ্চ থেকে রুপালী মেডেল পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন কান্নায়। আর্জেন্টিনার উদযাপন, লিওনেল মেসির উদযাপন এবং চেহারার অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছিল কতটা জরুরি ছিল একটা শিরোপা।
এটি লিওনেল মেসির প্রথম মেজর আন্তর্জাতিক শিরোপা। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে টানা দুটি কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা ফাইনালে গিয়েও হেরে যায়। ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়ে অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি।
যদিও দ্রুতই ফিরে এসেছেন এবং পরবর্তীতে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা দিয়ে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের স্বাদ পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
ম্যাচের শেষে লিওনেল মেসি ও নেইমার একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। মাঠের যে কোণে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ছিলেন, সেখানে গিয়ে উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। লিওনেল মেসিকে তুলে হাওয়ায় ভাসিয়ে উল্লাস করেন সতীর্থরা। কোপা আমেরিকার সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার পেয়েছেন লিওনেল মেসি।
ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেছে ব্রাজিল, শটও নিয়েছে ১৩টি গোলে। কিন্তু লক্ষ্যে শট দুই দলের সমান দুটি করে। কোপা আমেরিকার অন্যান্য ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফাউল হয়েছে প্রচুর, ব্রাজিল করেছে ২২টি, আর্জেন্টিনা ১৯টি ফাউল করেছে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল বলের নিয়ন্ত্রণ রাখলেও আর্জেন্টিনার জমাট রক্ষণের তালা খুলতে পারেননি কেউ। রিচার্লিসন বল জালে জড়ান একবার, কিন্তু তিনি ছিলেন অফসাইড। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ শেষদিকে ডি বক্সের ভেতরে গোল ঠেকিয়ে দেন।
এসি